স্টেশনের নাম বাঁশবেড়িয়া
স্টেশনের নাম বাঁশবেড়িয়া
অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী

গল্প - স্টেশনের নাম বাঁশবেড়িয়া

লেখক: অর্ঘ্যদীপ চক্রবর্তী
প্রকাশ - মঙ্গলবার, ১১ জুন ২০২৪ ধরণ: ভ্রমণের

বাঁশবেড়িয়া স্টেশনটি খুব সুন্দর। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। এই স্টেশনটির বর্ণনা এই কারণেই করছি কারণ আমার ভালো লেগেছিল।
মানুষ যাকে পছন্দ করে তার সম্বন্ধে কিছু লিখতে চায় —- হোক সেটা কবিতা বা গল্প। এই কবিতা বা গল্পের মাধ্যমেই তার মনের ভাব প্রকাশ করতে চায়।
কতটা ভালোবাসে সেটা কবিতা বা গল্পের মাধ্যমেই বুঝিয়ে দেয়।

এই স্টেশনটি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের হুগলি জেলায় অবস্থিত। ব্যাণ্ডেল থেকে যে লাইন নবদ্বীপ চলে গেছে, এই স্টেশনটি সেই লাইনেই অবস্থিত।

হংসেশ্বরী মন্দির যাবার জন্য এই স্টেশনে নামতে হয়। স্টেশনের বাইরে থেকে টোটো বা অটো নিয়ে মন্দিরে পৌঁছে যাওয়া যায়। আমরা গেছিলাম ঐ মন্দিরে কোনো এক শীতকালে। শীতকালে সাধারণত ঘুরে বেড়িয়ে বেশ মজা লাগে।
আর সেই জন্য শীতকালেই হংসেশ্বরী মন্দির ভ্রমণে বেরিয়েছিলাম ফলস্বরূপ ঐ স্টেশনে নেমেছিলাম। স্টেশনে ট্রেন থেকে নেমে খুব ভালো লেগেছিল চারপাশের পরিবেশ। তখন থেকেই ভেবেছিলাম যদি কিছু না লিখি এই স্টেশন নিয়ে তাহলে আমার ভ্রমণ কাহিনী লেখার জীবন ব্যর্থ।

স্টেশনটি মোটামুটি বড়ো। এক্সপ্রেস ট্রেন থ্রু হয়ে বেরিয়ে যায়। লোকাল ট্রেন থামে। যখন এই লেখাটি লিখছি তখন অব্দি ঐ স্টেশনে একবারই গেছি। আশা আছে আরও কয়েকবার যাব। এমন কত স্টেশন আছে, সব স্টেশনের নাম কি জানি? ঐ ঘুরতে বেড়াতে গেলে এই ধরনের স্টেশনগুলি দেখা যায়। তাই জন্যই তো বলি, ঘোরা উচিত, কত কী জানা যায়, কত কী দেখা যায়!
স্টেশনের কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম আমার মোবাইলে। স্মৃতি হয়ে থাকবে। ছবি তুলেছিলাম নিজেরও কিছু, ঐ স্টেশনের নাম লেখা থাকে যে বোর্ডে সেখানে দাঁড়িয়ে।

আমরা স্টেশনে পৌঁছেছিলাম সকাল দশটার কাছাকাছি (ঠিক মনে করতে পারছি না সময়টা তবে ঐরকমই হবে)। তখন তেমন ভিড় দেখিনি। কিন্তু যখন ফিরে আসছিলাম — এই স্টেশনের উপর দিয়ে ট্রেনে করে যাচ্ছিলাম তখন দেখেছিলাম ভিড় ছিল।(আসলে আমার নেমেছিলাম বাঁশবেড়িয়া স্টেশনে আর ফিরে আসার জন্য উঠেছিলাম ট্রেনে, ত্রিবেণী ঘাট স্টেশন থেকে। এই বাঁশবেড়িয়া স্টেশনের উপর দিয়েই আবার ব্যাণ্ডেল হয়ে বাড়ি ফিরেছিলাম।)

আমরা উঠেছিলাম শিয়ালদহ স্টেশন থেকে নবদ্বীপের ট্রেন ধরে। সেই ট্রেনে করেই এই বাঁশবেড়িয়া স্টেশনে নামি। আর ফিরে আসার সময় ত্রিবেণী ঘাট স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠেছিলাম। সেটা ছিল হাওড়ার ট্রেন। তাই আমাদের ব্যাণ্ডেল স্টেশনেই নেমে যেতে হয়েছিল। কারণ ব্যাণ্ডেল থেকে শিয়ালদহ আর হাওড়ার দুটো আলাদা লাইন চলে গেছে। আমরা যেহেতু শিয়ালদহ-তে যাব তাই ব্যাণ্ডেলেই নেমে পড়েছিলাম। ব্যাণ্ডেল থেকে নৈহাটি হয়ে শিয়ালদহ-তে পৌঁছে যাওয়া যায়।
এই ফিরে আসার ট্রেনটি থ্রু হয়ে যাচ্ছিল বাঁশবেড়িয়া স্টেশনের উপর দিয়ে। ফিরে আসার সময় আবার একবার দেখেছিলাম সকালের স্টেশনটিকে।

১১/৬/২০২৪

এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ৩১ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন