Profile Picture
লেখকের নাম -

নবীনচন্দ্র সেন

Nabinchandra Sen

জন্ম তারিখ: বুধবার, ১০ ফেব্রুয়ারি ১৮৪৭

জন্মস্থান: চট্টগ্রাম - বাংলাদেশ

পরিচিতি: নবীনচন্দ্র সেন বাংলা সাহিত্যের একজন উল্লেখযোগ্য কবি। চট্টগ্রাম জেলার রাউজান থানার অন্তর্গত পশ্চিম গুজরার (নোয়াপাড়া) সুপ্রসিদ্ধ প্রাচীন জমিদার পরিবারে তার জন্ম। তার পিতার নাম গোপীমোহন সেন এবং মাতার নাম রাজরাজেশ্বরী। নবীনচন্দ্রের প্রথম কবিতা কোন এক বিধবা কামিনীর প্রতি প্রকাশিত হয় তৎকালীন অন্যতম খ্যাতনামা পত্রিকা এডুকেশন গেজেট-এ, যখন তিনি এফ.এ (বর্তমান উচ্চ মাধ্যমিক) শ্রেণির ছাত্র। তার প্রথম বই "অবকাশরঞ্জিনী"র প্রথম ভাগ প্রকাশিত হয় ১২৭৮ বঙ্গাব্দের পহেলা বৈশাখ এবং এর দ্বিতীয় খণ্ড প্রকাশিত হয় ২৯ জানুয়ারি, ১৮৭৮ এ। শেষের কাব্য তিনটি( রৈবতক,কুরুক্ষেত্র,প্রভাস) আসলে একটি বিরাট কাব্যের তিনটি স্বতন্ত্র অংশ। এই কাব্য তিনটিতে কৃষ্ণচরিত্রকে কবি বিচিত্র কল্পনায় নতুনভাবে ফুটিয়ে তুলেছিলেন। কবির মতে আর্য ও অনার্য সংস্কৃতির সংঘর্ষের ফলে কুরুক্ষেত্রযুদ্ধ হয়েছিল। এবং আর্য অনার্য দুই সম্প্রদায়কে মিলিত করে শ্রীকৃষ্ণ প্রেমরাজ্য স্থাপন করেছিলেন। নবীনচন্দ্র ভগবতগীতা এবং মার্কণ্ডেয়-চণ্ডীরও পদ্যানুবাদ করেছিলেন। নবীনচন্দ্রের কবিত্ব জায়গায় জায়গায় চমৎকার কিন্তু কবি এই চমৎকারিত্ব সব জায়গায় বজায় রাখতে পারেন নি। এই কারণে এবং কাব্য বাঁধুনি না থাকায় নবীনচন্দ্রের কবিত্বের ঠিকমত বিচার করা কঠিন হয়ে পড়েছে। নবীনচন্দ্র কিছু গদ্যরচনাও করেছিলেন। তার আত্মকথা আমার জীবন একটি উপন্যাসের মত সুখপাঠ্য গ্রন্থ। তিনি ভানুমতী নামে একটি উপন্যাসও রচনা করেছিলেন।

নবীনচন্দ্র সেন'এর কবিতা সমূহ

এখানে প্রকাশিত কবিতার সংখ্যা: ৫৫

কবিতার শিরোনাম মন্তব্য
একটী সুবর্ণ-কৌটা খুলিল যেমতি
তীব্র জ্যোতিঃ-পরিপূর্ণ!—চাহি শূন্যপানে
মানব-গৌরব-রবি হ’লো অস্তমিত
আমি যাই অস্তাচলে এই অস্ত্র-লেখা
বিদ্যুতের গতি! হেন কালে চারি দিগে
বলিলাম—তোমারে কি? না হয় স্মরণ
অনাহারে অনিদ্রায় মুমূর্ষের মত
ভয়ঙ্কর! নিরখিয়া উড়িল পরাণ
প্রতিকূল তরীব্যূহ পশিল সংগ্রামে
এণ্টনির লুকাইতে সে করাল ছায়া
ফুরাইলে বেশ; নাথ হাসিয়া আদরে
বলিলা আমারে নাথ! হাসিয়া হাসিয়া
প্রকাশিল যদি পুনঃ মিশরে আবার
এই ছায়া আপনার আসিয়াছে বুঝি
অস্তগামী রবি যেন! কি বলিব আর
চাহিনু আকাশ-পানে দেখিলাম সখি
সুষুপ্ত ভুজঙ্গ যেন দুষ্ট প্রহারকে
ভাবিলাম আমি চন্দ্র ধরণী এণ্টনি
শুয়েছি; উপরে নীল চিত্রিত আকাশ
ভাবিতাম বীরশ্রেষ্ঠ চলিগেলা রোমে
সুশোভার চিহ্ন মাত্র শব্দ-বহ হায়
উন্মত্তের প্রায় সখি! কত কাঁদিলাম
মরেছে ‘ফুল্‌ভিয়া’ আমার—’
কাঁপিল হৃদয় মম – ‘ক্লিওপেট্রা! এই
নিরখি অসাবধানে শায়িত শরীর
যত পান করি, বাড়ে প্রণয়-পিপাসা
পাইলাম, কিন্তু সখি! সেই সম্মিলনে
সজ্জিত এ বপুঃ মম; কিন্তু সহচরি
চলেছে রঙ্গিণী ওই, মৃদুল মৃদুল
আপনার রূপে যেন আপনি বিভোর
ওই যে দেখিছ চিত্র,—নিসর্গ-দৰ্পণ
ফুরাল;—কি? সিজারের রাজ্য-অভিষেক
ক্ষুধার্ত্ত!—‘তোমরা কেহে? তোমরা দুজন
এত প্রলোভন!—সখি! পড়িলাম আমি
বসিলাম সিংহাসনে বসিলাম?–ভীম
সিজার মিশরে!—দূরে গেল রণ-সজ্জা
বাঁধিলাম শিরস্ত্রাণ, উরস্ত্রাণ উচ্চ
সেই খানে ক্লিওপেট্রা-জীবন-উদ্যানে
অস্ত্রধারী টলেমির বংশে বংশী-ধর
আতপ মিশিয়া যেন চন্দ্রিকা শীতলে
প্লাবিয়া প্রশস্ত পথ, সৈন্যের প্রবাহ
আন্দোলিত হ’য়ে পাছে মধুর “গিটার”
শোভিছে মিশর-জাত সুরা নিরমল
স্বর্ণ সিংহাসন তার তুচ্ছ অতিশয়
বিষাদ-আঁধারে এই রূপ কহিনুর
রাজধানী রাজ-হর্ম্ম্যে বসিয়া নিরবে
মিশর অপূর্ব্ব সৃষ্টি! দৃশ্য মনোহর!
মধ্যে এক খণ্ড বারি!—এক তীরে তার
বিধির অনন্ত লীলা!—অনন্ত সৃজন!
উঠিল প্রথমে যবে প্রেম-আবরণ,