তুমি এসেছিলে একদিন —
শ্যামল বৃষ্টির ছায়ায়; হেমন্তের ধূলির দেশে —
জানালার পাশে ধুঁকতে থাকা রোদে…,
আমি দেখেছিলাম তোমার চোখে ছিল
এক টুকরো মৃত আকাঙ্খার আহ্বান।
আমরা হাঁটতাম — ধানের গন্ধে ভেজা পথ ধরে
যেখানে সমাজ দাঁড়িয়ে থাকে কাঁটাতারে বোনা রক্তমাখা আলপথে,
ভিখারির রক্ত, কৃষকের নিঃশ্বাস আর বেকারের কান্নায় গড়া
আমাদের আঙিনায়।
তোমার চোখে সেদিন আমি প্রেম দেখিনি শুধু,
তোমার লাল চোখে ছিল প্রতিবাদ
আর বিদ্রোহের নীরব বাতাবরণ।
আমরা ভালোবেসেছিলাম,
ঠিক যেমন নদী ভালোবাসে পতনের প্রতীক্ষা;
শীতল জ্যোৎস্নার নিচে
ঘুমিয়ে থাকা একটা বেজন্মা সমাজ
গোগ্রাসে গিলছিল ভালোবাসার রক্ত মাংসকে।
আজও যখন দেখি সোনালী খেতের মাঝে
কারখানার ধোঁয়া,
আর রাজনীতির লালসায় পোড়া শিশুর মুখ,
তখন তোমার ঠোঁটের নিস্তব্ধতা মনে পড়ে —
সেখানে ছিল আগুন,
ছিল অন্ধকার ছিন্ন করার প্রতিজ্ঞা।
আর তুমি ছিলে কাঁটার মুকুট মাথায় পড়া নির্ভীক সময়।
তুমি যদি ফিরে আসো —
এই ধ্বংসের শহরে —
আমি এখনো অপেক্ষা করি তাই
একটি নব জন্মের জন্য —
ভালোবাসা যেখানে অস্ত্র,
আর কবিতা হয়ে উঠবে বিপ্লব।
তোমার হাতে হাত রেখে
এক কাপ চায়ে চুমুক দিয়ে
আমরা শুনবো আগামীদিনের গান।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন