তোমাকে ভালোবেসেছিলাম—
ঠিক সেই সন্ধ্যাবেলায়
যখন শহর চায়ের কাপে ডুবে থাকে আর
রাষ্ট্র যখন ক্ষমতার হিসাব মেলায়।

তুমি হেঁটেছিলে নরম আলোয়,
আর আমি ভেবেছিলাম—
শরতের পাতাঝরার মতো
তোমার সমস্ত দুঃখগুলো যদি
নিয়ন বাতির নীচে
পুড়িয়ে দিতে পারতাম।

তোমার চোখে তখন কোনো পতাকার ছাপ ছিল না,
ধর্মের বলিরেখা পড়েনি কোথাও,
ছিল শুধু রোদে ছুঁই-ছুঁই একটা নীরবতা—
যেটা ছুঁলেই মনে হতো
নির্ভেজাল মুক্তির আনন্দ
পেয়ে বসেছে আমায় সাঁতালি বস্তির সৈথাং মোচারীর বারান্দায়।

তবু আমাদের আলাদা করে দিল
যেন কারা,
যেন আমাদের বুকের মাঝখানে
এঁকে দিল ম্যাপে কাটা সীমান্ত,
জয়ন্তী আর ভুটান পাহাড়ে রাজত্ত্ব করছে এখন ঢোলরা।

তুমি চলে গেলে।
আমি দাঁড়িয়ে রইলাম—
শহরের ঠিক মাঝখানে,
যেখানে ট্রাফিক সিগন্যালে দাঁড়িয়ে থাকে
হাজারটা অব্যক্ত কবিতা।

রাত নামল—
আমি চুপচাপ ভাঙা ঠোঁটে
তোমার নাম লিখে রাখলাম
একটি খবরের কাগজের শেষ পাতায়,
যেখানে আত্মহত্যার খবর ছাপা হয়।

তখনও কেউ জানত না,
এই ব্যর্থ প্রেমই
একটা পুরো সভ্যতার বিরুদ্ধে
নিঃশব্দ বিদ্রোহ।
রাজভাতখাওয়ার জঙ্গলে তখন
দুরন্ত গতিতে ছুটছে রাজধানী এক্সপ্রেস।

পরে পড়বো
২৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন