ভিখারী
ভাস্কর চক্রবর্তী
মুখের চামড়া টান, লোকে বলে—‘গম্ভীর মানুষ, একলা ঘরের কোণে থাকে’—
কিসের গাম্ভীর্য? আহা, দু’তিনটে কবিতা লিখি বলে?
তুমি জানো, আমি শালা ভিখারীর চেয়েও ভিখারী
সিঁড়ির তলায় জুতো ছেড়ে
তোমার নিরালা ঘরে উঠে যাই, নেমে আসি—মাঝখানে তুমি
চায়ের বাজার নিয়ে কথা বলো, কথা বলো এ-বছর কোথায় বা বেশী বৃষ্টিপাত
কোনো কোনো দিন হেসে চোখটা ওপরে তুলে, ‘আরে তুমি? এসো এসো
সেই কবে এসেছো সাতাশে’—
আমি দেখি চেয়ে, বোর্ণভিটা তোমাকে যতো পুষ্টতা দিয়েছে
মুখরা করেছে তারও বেশী—
সকাল ন’টায় তবু টেলিফোন দেখলেই বুকের ভেতরে হাঁস ছটফট করে
কচি ছাগলের মতো রোদ নাচে ছাদের কার্নিশে—
সব কি মাটিতে যাবে?
একবার এই জন্ম—ছুটে যাই, তুমি জানো ছুটবোই আমি
যেখানে তোমার ছায়া বসবোই হাঁটু ভাঁজ করে
আমি ইট, আমি কাঠ—চুণ বালি অথবা খড়কে-কাঠি আমি
তুমি জানো, আমি শালা ভিখারীর চেয়েও ভিখারী
বোকার মতন আজও হেসে
তোমার নিরালা ঘরে উঠে যাই, নেমে আসি, লোকে বলে—‘গম্ভীর মানুষ
একলা ঘরের কোণে থাকে’
কিসের গাম্ভীর্য? আহা, দু’তিনটে কবিতা লিখি বলে?
তুমি জানো, আমি শালা ভিখারীর চেয়েও ভিখারী
সিঁড়ির তলায় জুতো ছেড়ে
তোমার নিরালা ঘরে উঠে যাই, নেমে আসি—মাঝখানে তুমি
চায়ের বাজার নিয়ে কথা বলো, কথা বলো এ-বছর কোথায় বা বেশী বৃষ্টিপাত
কোনো কোনো দিন হেসে চোখটা ওপরে তুলে, ‘আরে তুমি? এসো এসো
সেই কবে এসেছো সাতাশে’—
আমি দেখি চেয়ে, বোর্ণভিটা তোমাকে যতো পুষ্টতা দিয়েছে
মুখরা করেছে তারও বেশী—
সকাল ন’টায় তবু টেলিফোন দেখলেই বুকের ভেতরে হাঁস ছটফট করে
কচি ছাগলের মতো রোদ নাচে ছাদের কার্নিশে—
সব কি মাটিতে যাবে?
একবার এই জন্ম—ছুটে যাই, তুমি জানো ছুটবোই আমি
যেখানে তোমার ছায়া বসবোই হাঁটু ভাঁজ করে
আমি ইট, আমি কাঠ—চুণ বালি অথবা খড়কে-কাঠি আমি
তুমি জানো, আমি শালা ভিখারীর চেয়েও ভিখারী
বোকার মতন আজও হেসে
তোমার নিরালা ঘরে উঠে যাই, নেমে আসি, লোকে বলে—‘গম্ভীর মানুষ
একলা ঘরের কোণে থাকে’
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৩৬৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন