একটি শরীরবিহীন ঘূর্ণি,
যার কান্না নেই, হাসি নেই—
শুধু সময়ের ছিন্নবস্ত্রে মোড়ানো এক নির্বাসিত সত্তা,
যা প্রতিটি নক্ষত্রের একাকীত্ব গিলে ফেলে নিভৃতে।
এখানে নেই নাম, শব্দ নিস্তব্ধ, আর প্রেম নিঃশেষে বিভাজ্য,
আছে কেবল এক গলিত মহাশূন্য—
যার কণ্ঠনালীতে আটকে আছে
অপ্রকাশিত অনুভূতির অস্পষ্ট গ্লাস স্লাইড,
যা প্রতিফলিত হয় না কোনো দূরবীক্ষণে।
তাপের কোনো উৎস নেই এখানে,
অথচ প্রতিটি কণা পুড়ে যায় নিজস্ব নামহীনতায়,
যেনো পরিচয়ের সংজ্ঞা
এক মহাজাগতিক ব্যাকরণে বাতিল হয়েছে জন্মের পূর্বেই।
অনুভূতিরা একে একে
আত্মহত্যা করে গতিপথ হারানো উল্কাপিন্ডে চড়ে,
আর স্মৃতিরা…
তারা হয় আয়নার পেছনের ছায়া,
না থেকেও প্রতিনিয়ত প্রতিফলিত।
সংশয়ের শূন্যগর্ভে ভাসতে থাকা
এক ব্ল্যাকহোল আত্মা—
যে প্রতি মুহূর্তে নিজস্ব অস্তিত্বকেই গ্রাস করে
এক অনামা ভেতরগামী বিস্ফোরণে,
যা নীরবতার শব্দে বিকট হয়ে ওঠে
শুধু অনুপস্থিত শ্রোতার চেতনায়।
সেই আত্মা—
আরো নিঃসঙ্গ হয়ে ওঠে
প্রতিবার যখন চেনা সম্পর্কগুলো
আলোকবর্ষের ব্যবধানে কণার মতো বিচ্ছিন্ন হয়,
যেন তারা কখনও ছিল না—
ছিল না স্পর্শ, ছিল না উচ্চারণ,
ছিল না কোনো অর্থ, কেবল গলিত ভরশূন্যতা।
সমস্ত ভালোবাসা, সব ঋণ, সব নাম
এক এক করে নিঃশেষিত হয়ে যায়—
যেন তা ছিল মহাকাশের প্রাচীনতম ভুল বানান,
যার সংশোধন ছিল না কোন অভিধানে।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন