ঘড়ির গর্ভে লুকিয়ে আছে এক মৃত শিশু—
সে জন্মায়নি;
সে ঘড়ির কাঁটার ভেতরেই আত্মহত্যা করেছে,
ঠিক সেদিন, যেদিন সময় নিজে এক আত্মস্বাক্ষরের নিচে
নিজেকে গিলে খেয়েছিল।
তুমি কি জানো?
প্রতিটি টিকটিক শব্দ আসলে এক গোপন রক্তপাত,
যেখানে প্রতিটি সেকেন্ড এক শবদেহের উপর চাকা ঘোরায়।
সময় এখানে প্রসবযন্ত্রণা নয়,
এটা এক নীলচে ভ্রূণ, যার নাড়ি কাটা হয়নি এখনো,
দড়ির মত ঝুলে থাকে
ঘড়ির কাঁচভাঙা ক্যানভাসের নিচে।
সে আত্মহত্যা করেছিল কারণ ঈশ্বর তাকে ভালোবাসেনি,
সে সময়কে থামাতে চেয়েছিল, কিন্তু সময় ছিল মদ্যপ,
তার সিগারেট থেকে ছিটকে পড়েছিল
একটি আগুনে পঙক্তি:
“আমার অস্তিত্ব কেবল এক অচল ঘড়ি,
যার ভিতর আত্মহত্যারা গৃহ নির্মাণ করে”।
পৃথিবীর প্রতিটি ঘড়ি আসলে এক গর্ভপাতের যন্ত্র,
প্রতিটি ঘণ্টা— এক নিষ্ফল কামনার দাহকাল,
প্রতিটি মিনিট— এক ব্যর্থ প্রেমপত্র,
আর সেকেন্ড?
সেকেন্ড হল সেই লাশ,
যে প্রতিবার মৃত্যুর আগে বলে উঠেছিল—
“আমি ঠিক সময়মতো মরে যাবো, মা”।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন