এক অশ্রুত বৃষ্টিধ্বনি,
যার ঝরে পড়া হয়নি কোনো আকাশপথে—
বরং দুই ব্যথার অন্তঃস্থ নিঃশ্বাসে
বোনা হয়েছে জলহীন জলছায়ার অবয়বে।
সে জল, যা জিহ্বা চেনে না,
তবু অস্থিমজ্জায় রেখে যায়
দগ্ধ স্পর্শের অক্ষরহীন দাগ।
কোনো ঋতুর অভ্যন্তরে নয়—
এই ভিজে পড়া, এই দ্রবীভূত প্রেম,
যেন দুই শববাহকের ছায়া সংলগ্ন ছায়ায়
গেঁথে থাকা এক শব্দহীন সংলাপ—
না ছিল উচ্চারণ, না সংজ্ঞা,
তবু প্রতি অঙ্গচ্ছায়ায় লেপটে থাকা একটি ভ্রূণস্মৃতি।
জল ছিল না, তৃষ্ণা ছিল না,
ছিল শুধু এক লুপ্ত জলভাষা,
যা জন্ম নিয়েছিল নৈঃশব্দ্যের কর্দমে—
দুটি অস্তিত্ববর্জিত প্রেমিক-প্রেতের মধ্যবর্তী
অস্পষ্ট আকাঙ্ক্ষার অনুরনে।
ভিজে যায় যে ঘুম,
তার গায়ে অদৃশ্য বৃষ্টির হাত পড়ে—
না উষ্ণ, না শীতল—
কেবল এক অলীক স্পন্দনে সে ছুঁয়ে যায়
সেই অনুভব, যাকে বলা চলে না ‘প্রেম’,
তবু যে বাস করে অনামা অনুভবের অন্ধ গহ্বরে।
বৃষ্টি কখনো নামেনি—
তবু সেই ব্যথার রন্ধ্রে জমেছে এক স্বচ্ছ-অদৃশ্য জল,
যা জন্ম দেয় নিঃশব্দ এক পরশের—
সে পরশ, যার ছোঁয়া হয় নি কোনো চর্ম,
তবু রেখে গিয়েছিল মরণান্ত ছাপ,
এক পঙ্ক্তিহীন প্রেমগাথা।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন