যে প্রশ্ন জন্মায় নাভিমূলের হেমাঙ্গ রক্তশিরায়,
তার শিরোনামে জড়ানো থাকে মলিন কোনো স্বরগ্রন্থি,
যার ফাঁকে জমে থাকে ব্যাখ্যাতীত ক্রন্দন—
যেন ধ্বংসপ্রাপ্ত কোনো শব্দভাণ্ডারের স্তব।
জিহ্বার পিঠে জমে থাকা গন্ধবর্জিত প্রস্তাবনারা
বিষণ্ণ কোনো নক্ষত্রের সান্ধ্য অলিন্দে মাথা ঠুকে কাঁদে,
এবং প্রতিটি না-বোঝা—
অধরার রন্ধ্রে ঢুকে পড়ে,
তোমার হাড়গিলে চোয়ালে গড়ে তোলে
এক বিকলান্ত সংলাপের মৃতদেহ।
তুমি যখন বুঝতে চাও,
তোমার করোটির ভেতরে অশ্রুত এক পিপীলিকার দল
স্মৃতির হেমাটোমায় নিঃশব্দ বিষ ঢালে—
তাদের অঙ্গভঙ্গিতে লেখা থাকে অক্ষমতার সমারোহ।
প্রতিটি প্রশ্ন, একেকটি শবগৃহ—
যেখানে অর্থেরা মমির মতো শুয়ে থাকে হাজার বছর ধরে।
বুঝে ফেললেই ফুস করে নিভে যায়
অবিনির্ণেয় সেই অন্ধকারের দীপ্তি।
আমরা হাঁটি,
আমাদের ছায়া পেছনে রক্তমাখা চিঠি ফেলে যায়—
যাদের ভাষা এখনও উদ্ভূত হয়নি কোনো ব্যাকরণে।
চোখের পাতায় রক্তপাত হয়,
কারণ সেখানে লুকিয়ে ছিলো
একটা প্রশ্নের আদিম চিৎকার।
জানার প্রচেষ্টাই হয়তো সবচেয়ে অশ্লীল জড়জ কাম,
যার পরিণতি হয় নিজের মগজেই বিবস্ত্র হওয়া,
সেই শূন্যতা যেখানে কোনো ব্যাখ্যা নেই,
শুধু এক মৃত সুর বেজে চলে,
এক কানে শোনা যায় না এমন গান,
যার প্রতিটি শব্দে আত্মঘাতী হয়ে পড়ে যুক্তি।
তাই আমি বলি—
প্রশ্ন করো, কিন্তু উত্তর বোলো না।
উত্তর এক রক্তাক্ত দরজা,
যেখানে ঢুকলেই বেড়িয়ে আসে চেতনার চিমেরা,
তুমি থাকবে, কিন্তু থাকবে না।
আলো কখনোই প্রশ্নের সহোদর নয়,
আলো আসলে একরকম ব্যঙ্গ,
অন্ধকারের মৃত ভ্রূণের মুখে সোনার পোকা গুঁজে দেওয়ার মত নিষ্ঠুর।
যারা সত্য চায়, তারা আসলে মৃত্যুর নামতা মুখস্থ করে,
আর যারা বুঝতে চায় না,
তারা হয়তো একমাত্র বেঁচে থাকা প্রাণীর মতোই নিঃশব্দ।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন