কুরচি (চিঠি)
বুদ্ধদেব গুহ
কুরচি,
তোমার চিঠি হঠাৎ এই শীতের
সকালে এক রাশ উষ্ণতা বয়ে আনলো।
পাতা ঝরে যাচ্ছে সামনের শালবনে।
বিবাগী হচ্ছে ভোগী। রিক্ততার দিন
আসছে সামনে। এরই মধ্যে তোমার
চিঠি যৌবনের দ্যুতির মতো; এলো এক
ঝাক টিয়ার উল্লাসী সমবেত সবুজ
চিৎকারের মতো। তার মানে এই নয়
যে- তোমার চিঠি দুর্বোধ্য। উপমার
খোদ ক্ষমা করে দিও। কেমন আছ তুমি?
জানতে চাইলেও জানতে পাই কই?
সকাল থেকেই তোমাকে আজ খুব সুন্দর
একটা চিঠি লিখতে ইচ্ছে করছিল। ঘুম
ভাঙ্গার পর থেকেই তোমার কথা মনে
পড়ছিল খুবই। আজকে ঘুম ভাঙ্গলো বড় এক
চমকে। এক জোড়া পাখির ডাকে ঘুম
ভাঙ্গলো। যে পাখিদের ডাক বড় একটা
শুনিনি এদিকে। কম্বল ছেড়ে দৌড়ে
বাইরে গিয়ে দেখি- এক জোড়া
স্কারলেট মিনি-ভেট এসে বসেছে আম
গাছের মাথায়। আমার ঘুম ভাঙ্গা
নিয়ে পাখিরা- আহা রোজই যদি
আসতো। আর তারপরই তোমার এই চিঠি।
দিন আজকে ভালো যাবে আমার।
বলছিলাম যে, সকাল থেকেই তোমাকে
সুন্দর একটি চিঠি লিখবো ভাবছিলাম।
কিন্তু সুন্দর সুখের যা কিছু ইচ্ছা তা দমন
করার মধ্যেও বোধহয় এক ধরনের গভীরতর
সুখ নিহীত থাকে। থাকে না? আজ চিঠি
লিখবোনা তোমাকে। তার বদলে
একটি স্বপ্নহার পাঠাচ্ছি, লেখক কবি
না তবুও তার নাম গোপন থাক। কি যে
দেখেছিলাম তোমার ঐ মুখটিতে
কুরচি। এত যুগ ধরে কত মুখইতো দেখলো এই
পোড়া চোখ দু'টি। কিন্তু, কিন্তু এমন
করে আর কোনো মুখ'এইতো আমার
সর্বস্বকে চুম্বকের মত আকর্ষণ করেনি।
ভালো না বাসলেই ভালো...... বড় কষ্ট
ভালোবাসায়।
ভালোবাসাতো কাউকে পরিকল্পনা
করে বাসা যায় না। ভালোবাসা
হয়ে যায়, ঘটে যায়। এই ঘটনার ঘটার
অনেক আগের থেকেই মনের মধ্যে প্রেম
পোকা কুড়তে থাকে। তারপর হঠাত'ই এক
সকালে এই দুঃখ সুখের ব্যাধি
দূরারোগ্য ক্যান্সারের মতই ধরা পড়ে।
তখন আর কিছুই করার থাকে না। অমোঘ
পরিণতির জন্যে অশেষ যন্ত্রণার সঙ্গে শুধু
নীরব অপেক্ষা তখন। কেউ যেনো
কাউকে ভালো না বাসে। জীবনের সব
প্রাপ্তিকে এ যে অপ্রাপ্তিতেই গড়িয়ে
দেয়। তার সব কিছুই হঠাৎ মূল্যহীন হয়ে
পরে।
স্বপ্নহার, তোমায় পাঠাই
নীল নদীটির নিবিড় পাড়ে,
ঘুম পাওয়া রোদ চমকে চেয়ে অলস
পায়ে,
যখন হাটে মাঘী মাঠের ন্যবা ধরা
শুন্যতাতে
ঠিক তখনই আমার বুকের গভীর থেকে
স্বপ্নগুলো ঝাপটে ডানা
অস্ফুটে কি কইতে কইতে নড়েচড়ে!
স্বপ্নগুলো খুব ভীতু হয়,
আমার স্বপ্ন; সবার স্বপ্ন।
তবুও আমি স্বপ্ন দেখি
রুপের রাজা, গুনের গুনীন,
মুঠির মাঝে মুক্ত মলিন,
সব পাখিদের মুগ্ধ করা মন্ত্র নিয়ে
আসবো ফিরে বারে বারে।
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন নিয়ে মালা
গাঁথি
স্বপ্ন মালা।
ছিপছিপে সেই মেয়ে, ছিপছিপে সে।
কুরচি দেখি কি করতে পারি? তোমার
সাথে বেড়াতে যাবার। ইচ্ছে তো কত
কিছুই করে। এই জীবনে ক'টি ইচ্ছে পুণ্য
হলো বলো? কারই'বা হয়? এমনিতে
আমার অনেক কষ্ট। এমন করে ডাক পাঠিয়ে
আর কষ্ট বাড়িওনা। একা একা মজা করতেও
বিবেকে লাগে। যার বিবেক বেঁচে
থাকে, তার সুখ মরে যায়। সুখী হবার
সহজ উপায় বিবেকহীন হওয়া। বিবেক
বিবশ হলেই বাঁচি।
ভালো থেকো
তোমার প্রিথু দা।
তোমার চিঠি হঠাৎ এই শীতের
সকালে এক রাশ উষ্ণতা বয়ে আনলো।
পাতা ঝরে যাচ্ছে সামনের শালবনে।
বিবাগী হচ্ছে ভোগী। রিক্ততার দিন
আসছে সামনে। এরই মধ্যে তোমার
চিঠি যৌবনের দ্যুতির মতো; এলো এক
ঝাক টিয়ার উল্লাসী সমবেত সবুজ
চিৎকারের মতো। তার মানে এই নয়
যে- তোমার চিঠি দুর্বোধ্য। উপমার
খোদ ক্ষমা করে দিও। কেমন আছ তুমি?
জানতে চাইলেও জানতে পাই কই?
সকাল থেকেই তোমাকে আজ খুব সুন্দর
একটা চিঠি লিখতে ইচ্ছে করছিল। ঘুম
ভাঙ্গার পর থেকেই তোমার কথা মনে
পড়ছিল খুবই। আজকে ঘুম ভাঙ্গলো বড় এক
চমকে। এক জোড়া পাখির ডাকে ঘুম
ভাঙ্গলো। যে পাখিদের ডাক বড় একটা
শুনিনি এদিকে। কম্বল ছেড়ে দৌড়ে
বাইরে গিয়ে দেখি- এক জোড়া
স্কারলেট মিনি-ভেট এসে বসেছে আম
গাছের মাথায়। আমার ঘুম ভাঙ্গা
নিয়ে পাখিরা- আহা রোজই যদি
আসতো। আর তারপরই তোমার এই চিঠি।
দিন আজকে ভালো যাবে আমার।
বলছিলাম যে, সকাল থেকেই তোমাকে
সুন্দর একটি চিঠি লিখবো ভাবছিলাম।
কিন্তু সুন্দর সুখের যা কিছু ইচ্ছা তা দমন
করার মধ্যেও বোধহয় এক ধরনের গভীরতর
সুখ নিহীত থাকে। থাকে না? আজ চিঠি
লিখবোনা তোমাকে। তার বদলে
একটি স্বপ্নহার পাঠাচ্ছি, লেখক কবি
না তবুও তার নাম গোপন থাক। কি যে
দেখেছিলাম তোমার ঐ মুখটিতে
কুরচি। এত যুগ ধরে কত মুখইতো দেখলো এই
পোড়া চোখ দু'টি। কিন্তু, কিন্তু এমন
করে আর কোনো মুখ'এইতো আমার
সর্বস্বকে চুম্বকের মত আকর্ষণ করেনি।
ভালো না বাসলেই ভালো...... বড় কষ্ট
ভালোবাসায়।
ভালোবাসাতো কাউকে পরিকল্পনা
করে বাসা যায় না। ভালোবাসা
হয়ে যায়, ঘটে যায়। এই ঘটনার ঘটার
অনেক আগের থেকেই মনের মধ্যে প্রেম
পোকা কুড়তে থাকে। তারপর হঠাত'ই এক
সকালে এই দুঃখ সুখের ব্যাধি
দূরারোগ্য ক্যান্সারের মতই ধরা পড়ে।
তখন আর কিছুই করার থাকে না। অমোঘ
পরিণতির জন্যে অশেষ যন্ত্রণার সঙ্গে শুধু
নীরব অপেক্ষা তখন। কেউ যেনো
কাউকে ভালো না বাসে। জীবনের সব
প্রাপ্তিকে এ যে অপ্রাপ্তিতেই গড়িয়ে
দেয়। তার সব কিছুই হঠাৎ মূল্যহীন হয়ে
পরে।
স্বপ্নহার, তোমায় পাঠাই
নীল নদীটির নিবিড় পাড়ে,
ঘুম পাওয়া রোদ চমকে চেয়ে অলস
পায়ে,
যখন হাটে মাঘী মাঠের ন্যবা ধরা
শুন্যতাতে
ঠিক তখনই আমার বুকের গভীর থেকে
স্বপ্নগুলো ঝাপটে ডানা
অস্ফুটে কি কইতে কইতে নড়েচড়ে!
স্বপ্নগুলো খুব ভীতু হয়,
আমার স্বপ্ন; সবার স্বপ্ন।
তবুও আমি স্বপ্ন দেখি
রুপের রাজা, গুনের গুনীন,
মুঠির মাঝে মুক্ত মলিন,
সব পাখিদের মুগ্ধ করা মন্ত্র নিয়ে
আসবো ফিরে বারে বারে।
আমার কিছু স্বপ্ন ছিল। স্বপ্ন নিয়ে মালা
গাঁথি
স্বপ্ন মালা।
ছিপছিপে সেই মেয়ে, ছিপছিপে সে।
কুরচি দেখি কি করতে পারি? তোমার
সাথে বেড়াতে যাবার। ইচ্ছে তো কত
কিছুই করে। এই জীবনে ক'টি ইচ্ছে পুণ্য
হলো বলো? কারই'বা হয়? এমনিতে
আমার অনেক কষ্ট। এমন করে ডাক পাঠিয়ে
আর কষ্ট বাড়িওনা। একা একা মজা করতেও
বিবেকে লাগে। যার বিবেক বেঁচে
থাকে, তার সুখ মরে যায়। সুখী হবার
সহজ উপায় বিবেকহীন হওয়া। বিবেক
বিবশ হলেই বাঁচি।
ভালো থেকো
তোমার প্রিথু দা।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ২১৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন