ব্যথা বাড়ে ॥ চাষা হাবিব
হাটতে থাকে
বুকের ব্যথা;
ব্যথায় কাতরায় পূব পাড়ার তফিরের বড়ভাই ছমির কাকা, শ্বাস ছেড়ে দম ভরে; আর রাতের শরীর জুড়ে শিশিরের কান্নায় ভিজে যাওয়া আঁচল শুকাতে দিয়েই বুকের ব্যথায় ফিট যায় আলতা বু নবিরের বেটি; আমরা হইচই করতে করতে ব্যথার কারন খুঁজি অথচ— হাটতে হাটতে ব্যথা বাড়ে; কইতে কইতে ব্যথা বাড়ে;
গায়ের মানুষ শহরত যায়, শহরের মানুষ গ্রামত যায়।
বৃদ্ধ জমির নানা রাজ্জাকের ভাই আগলে থাকে বাপের চাদর—খুইনি—হুক্কা আর পচাগড়ের জমি-জিরাত। বেবাকে কয়, ঢাকার লাল দালানে ব্যথা কেনাবেচা হয়; শহরের দালান হঠাৎ জেগে ওঠে গ্রামের বুক চিরে; চিন চিন ব্যথায় কাতরায়; ব্যথা বাড়ে আর বাড়ে; পঞ্চাশ বছরের ব্যথা জমা হয় লালবাগের শরীর জুড়ে;
হাঁটুর অস্থিতে ঘুণ ধরে, বুকের ছাতিতে রিং পরে, কোমারের সন্ধিতে বেড় পড়ে;
অথচ শিশির পড়তেই থাকে, আঁচল ভিজতেই থাকে।
পাড়াশুদ্ধ মানুষ শহরত যায়
শহরশুদ্ধ মানুষ গ্রামত যায়;
হিসাব মেলে না; ভোটের বাজারে ব্যথা বিক্রি হয়। আলতা বু’র শরীর ফুলে যায়— কাতরায়; ব্যথা বাড়ে আর বাড়ে। হাটতে হাটতে ভিতরগড়—পানামা—চট্টলা—শ্রীহট্ট;
বেবাক ব্যথায় ভরে যায়।

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন