এই সেই ২০২৪
এখানে আমি ছিলাম সত্যের সম্মুখে
তারপর আমি বিপ্লব করলাম
আমার চোখ দুটো রক্তিম বর্ণ ধারণ করল
সকালের সূর্যের মত উত্তাপহীন
অন্ধকার দূর করার জন্য রক্তিম আভা নিয়ে
আমরা ছরিয়ে পড়লাম লোকালয় জনসমুদ্রে
দিগন্ত জুড়ে তার উত্তাল হাওয়া
তখন অন্ধকার ছিল ঠিক নিগৃত ঊষার মত
আমরা লাল বর্ণ ধারণ করলাম
এখানে সময়ের কোলাহল ছিল
সময় থমকে দাঁড়িয়ে ছিল
স্মৃতির পাতাগুলো করমর্দন করতে থাকল
যেখানে ৭১ এর সব রং ২৪ এসে মিলিত হয়েছে
কিন্তু আবছায়া অন্ধকার আমাদের মধ্যেও বর্তমান
যখন প্রথম তার স্বরূপে প্রত্যাবর্তন করতে থাকলো
পুরো রংপুর জুড়ে রক্তের ছাপ
উত্তরার রাজপথ জুড়ে লাশের সনিগ্ধ মিছিল
জ্বলছে সারা বাংলাদেশ উত্তপ্ত ফাগুন যেন
ঘৃণার চোখে রক্ত অশ্রু ঝরছে বাংলাদেশের
বিষাদ সঙ্গীত বাজছে ঘরে ঘরে
প্রতিবাদী মন্ত্রে দীক্ষিত জনস্রোত
সেই সত্যের সন্ধান খুঁজে পেল
সেই সত্য যাকে আড়াল করা হয়েছিল যুগ যুগ ধরে
সেই সত্য যাকে তারা পিষে মারতে চেয়েছিল
সেই সত্ত্বা যাকে আড়ষ্ট করেছিল মিত্যুর কালো হাত
স্বৈরাচার তার বিষবাষ্প ছরিয়ে দিয়েছে রন্ধ্রে রন্ধ্রে
কিনে নিয়েছে আইন আদালত নৈরাজ্যের ভীত
অশ্রুর যায়গায় চোখ থেকে তখন দ্রোহ
আর রক্তের অনল গড়িয়ে পড়ল
চলছে আর্তনাদ ধিক্কার শোকার্ত সমবেদনা
বিপ্লবীদের অনল দহনে প্রজ্বলিত মিত্যুর সিংহাসন
সাপের মত সেই জিহ্বা থেকে তখনো ত্রাসে প্রলুব্ধ
বিষাক্ত কথাগুলো অনবরত গলগল করতে লাগলো
শহীদের মায়ের অশ্রু থেকে জন্ম নিল কোটি
বিপ্লবী বিদ্রোহী প্রান
জন্ম হলো এক বিপ্লবী কবি ও তার কবিতার
কোটি বাংলাদেশীর বুকে তখন
দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে
ক্রোধের নয় সে আগুন
সন্তাপের নয় সে আগুন
সেই আগুনে নেই কোন রহস্য
কিছুই আর তখন উদ্ঘাটনের নয়

এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ৩১ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন