আমি কেবল হাঁটি
মাঠের ভিতর
বনের ভেতর
কিংবা শহরের ব্যস্ত রাস্তায়
ঋতুর পরিবর্তনের মত
সেই রক্ত চুম্বন করা সূর্যের হাত ধরে হাটি
আমার প্রজ্বলিত দুটি চোখ
স্পর্শ কাতর দুটি হাত
দেখতে চায় স্পর্শ করতে চায়
সেই সবুজ শস্য ভরা মাঠ
লাস্যময়ী যৌবন যার
হরিণীর দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার মূহুর্তটুকু
কিছু বেদনা কাতর স্মৃতি ভরা
শহরের শান্ত নৈঃশব্দ্যের ক্যানভাস
নদীর তীরে পাখিদের সুমধুর গুঞ্জন
উত্তাল সাগরের গর্জন
বিশাল জলরাশির তীরে এসে আছড়ে পড়া
তারপর বিলীন হয়ে যাওয়া
সেখানে নগ্ন পায়ের পদচিহ্ন রেখে হাটি
তুষার আবৃত পাহাড়ের পাদদেশে
হিমশীতল শিহরণের মধ্যে দিয়ে হাটি
বৃষ্টির রিমঝিম শব্দকে আলিঙ্গন করে
কদমাক্ত মাটির সৌরভ মেখে হাটি
ফুল আর ভ্রমরের উদ্যানে হাটি
ক্ষুদে শিশুর অনাবিল হাঁসির ফোয়ারা
ছূয়ে সে হাসি দেখতে দেখতে হাটি
রৌদ্র ছায়ার লুকোচুরি
ঝর্না আর ঝিলের কলকল তরঙ্গ
পাহাড়ি মেঘের শীতল পরশ
বাতাসের নরম আদরে লুটোপুটি খেয়ে
আমি কেবল হাঁটি
আমি অনাদি কাল থেকে হেঁটে চলেছি
আমার জীবন চক্রের সমস্ত
রক্তের সাথে শুধু আমার হাঁটার সম্পর্ক
আমার সাথে হেটে চলছে
সূর্য নক্ষত্র চাঁদ পৃথিবী সুষুমাধারা অবিরাম
এই রৌদ্র বাতাস অন্ধকার ধূলিকনা এর নাম পৃথিবী
আমি বাতাসের সাথে এ পৃথিবীর কথা বলতে বলতে হাঁটি
আমি জাগতিক নিয়মে একাই হাঁটি
আমার সঙ্গী শুধু এই ফুল আর পাখি
এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ২৭ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন