পথিক তোমার অতৃপ্ত হতে পারে জীবন অভিযান
তোমার হৃদয় শুকিয়ে যেতে পারে নিছক অভিমান
তুমি ছায়ার সনে করেছ বাস বুঝ নি রৌদ্র দহন
অন্যেরা কিকরে করে রৌদ্র চাষ জীবনের সমাপন
দিকের ভূলেতে পীড়ন করে করে পরল যারা উষ্ণ ধূলি পর
মরুর বুকেতে রচিল তখন তৃষ্ণাতুর মৃত্যু ঘর
অশ্রুশূন্য ঝাপসা দৃষ্টি ভাসিয়ে ছিল শূণ্য মরুদ্যানে
মরীচিকা করেছিল বিভীষিকার খেলা মিটেনি তা প্রাণে
রাতের তারারা ডেকেছিল রাতে পারেনি ভূলিতে
জীবন আঁধারী হয়ে লুটিয়ে পড়ল ধরণীর ধূলিতে
খুড়িয়া মাটি দেখিল পথিক যদি এক পসলা পানি পায়
তেজোদাহে গেছে শুকিয়ে সূর্যস্রোত কি দেবে মৃত্তি মায়
বাষ্প সঞ্চারন বিস্তৃত হল দেহসহে চোখের সামনে
শুকিয়ে সুপ্ত সমাধি পথের আত্মনাদ কথা নেই বধনে
সর্প বিচ্ছুর রক্ত চুষে চাইল মেটাতে তৃষ্ণার জ্বালা
অলক্ষ্যে বুঝিল কেন যে শাহেরা কাটিত উটের গলা
উঠিয়া গেল দেহ বাকল তণুলিত আঁশ যেন সাপের খোলস
মৃত্যুর দূত সামনে দেখে চুপসিল দেহ উড়িল হুঁশ
জানিত সবে মরুদ্যানে ছরানো সবি বিষময় মৃত্যু কূপ
তৃষ্ণার তরে পীড়ন করে তবু দিল সেথায় ডুব
জীবন সুধা জীবনের তরে নিল মুখ ফিরে
মৃত্যু ক্ষুধার নীল ছোবল এসে ডুবিয়ে দিল চিরতরে
এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ২৭ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন