সাপ
ইমতিয়াজ মাহমুদ | কাব্য - পেন্টাকল
রাত ঘন হলে জগলুকে আজ সাপে কাটবে
ভোরে জগলু একটা সাপের লেজে পাড়া দিয়েছিলো
পরে সাপটা তার দিকে তেড়ে এলে
সে লাঠি দিয়ে সাপটার মাথা থেঁতলে ফেলে
জগলু বলে ঐটা ছিলো পুরুষ সাপ।
ফলে জগলুর বাপ আর তার বউ আর বোনেরা
সন্ধ্যা ঘনাবার আগে নিশ্চিত হয়ে যায়
জগলুকে রাতে সাপে কাটবে।
যেহেতু আমরা ধারণা করি
স্ত্রী সাপটা এখনো বেঁচে আছে
আর স্ত্রী সাপগুলো খুব প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়।
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন সাপের উপর
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন মাথার উপর
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন লেজের উপর
সন্ধ্যা ঘনাবার আগে ওঝা এসে জগলুদের বাড়িতে বাণ মারে
ওঝার কাছ থেকে আমরা শুনতে পাই নাগিনী এখন অনেক
পাতালে আছে। ওঝা জানায় পাতালের বিষ আর আগের মতো নাই
ওঝা ভরসা দেয় তার বাণের পরে সাপের তেমন করার কিছু নাই।
আমরা তবু সাপের ভয়ে আগুন ধরাই
আমরা তবু সাপের ভয়ে মরিচ পোড়াই
আমরা তবু সাপের ভয়ে তাবিজ করাই
যেহেতু জগলুর বাবা বলে তার বাপও সাপের কামড়ে মরেছিলো
আর সেই সাপটাও ছিলো স্ত্রী সাপ। আর সেদিনও ওঝা বলেছিলো
তার বাণের পরে সাপের তেমন করার কিছু নাই। ফলে আমরা এখানে
ওখানে আগুন ধরিয়ে বসে থাকি আর রাতকে আরো ঘন হতে দেই।
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন সাপের উপর
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন মাথার উপর
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন লেজের উপর
রাত ঘন হতে হতে আকাশ ফরসা হয়ে যায়। জগলু খাটের উপর শুয়ে
থাকে। তার বউ ধূপের পাশে। আমরা রাতকে আরো ফরসা হতে দেই।
যেহেতু জ্বালানোর মতো অনেক ধূপ আমাদের কাছে থাকে।
তারপর ধূপ জ্বালাতে জ্বালাতে আকাশ আরো ফরসা হলে ভোর
হলে আমরা নিশ্চিত হই নাগিনীদের ভালোবাসা আর আগের মতো নাই।
তখন কেউ একজন
সাপ সাপ বলে চেঁচিয়ে উঠবে
আর আমরা দেখতে পাব
জগলু খাটের উপর সোজা হয়ে শুয়ে আছে আর
তার বুকের উপর কুন্ডলী পাকিয়ে আছে একটা সাপ
আমরা ভেবে পাই না সাপটা এই পৃথিবীর কি না
আমরা ভেবে পাই না সাপটা খুব পাতালের কি না
আমরা ভেবে পাই না সাপটা আদৌ সাপ ছিলো কি না!
ভোরে জগলু একটা সাপের লেজে পাড়া দিয়েছিলো
পরে সাপটা তার দিকে তেড়ে এলে
সে লাঠি দিয়ে সাপটার মাথা থেঁতলে ফেলে
জগলু বলে ঐটা ছিলো পুরুষ সাপ।
ফলে জগলুর বাপ আর তার বউ আর বোনেরা
সন্ধ্যা ঘনাবার আগে নিশ্চিত হয়ে যায়
জগলুকে রাতে সাপে কাটবে।
যেহেতু আমরা ধারণা করি
স্ত্রী সাপটা এখনো বেঁচে আছে
আর স্ত্রী সাপগুলো খুব প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়।
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন সাপের উপর
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন মাথার উপর
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন লেজের উপর
সন্ধ্যা ঘনাবার আগে ওঝা এসে জগলুদের বাড়িতে বাণ মারে
ওঝার কাছ থেকে আমরা শুনতে পাই নাগিনী এখন অনেক
পাতালে আছে। ওঝা জানায় পাতালের বিষ আর আগের মতো নাই
ওঝা ভরসা দেয় তার বাণের পরে সাপের তেমন করার কিছু নাই।
আমরা তবু সাপের ভয়ে আগুন ধরাই
আমরা তবু সাপের ভয়ে মরিচ পোড়াই
আমরা তবু সাপের ভয়ে তাবিজ করাই
যেহেতু জগলুর বাবা বলে তার বাপও সাপের কামড়ে মরেছিলো
আর সেই সাপটাও ছিলো স্ত্রী সাপ। আর সেদিনও ওঝা বলেছিলো
তার বাণের পরে সাপের তেমন করার কিছু নাই। ফলে আমরা এখানে
ওখানে আগুন ধরিয়ে বসে থাকি আর রাতকে আরো ঘন হতে দেই।
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন সাপের উপর
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন মাথার উপর
আমরা ভেবে পাই না জগলু কেন লেজের উপর
রাত ঘন হতে হতে আকাশ ফরসা হয়ে যায়। জগলু খাটের উপর শুয়ে
থাকে। তার বউ ধূপের পাশে। আমরা রাতকে আরো ফরসা হতে দেই।
যেহেতু জ্বালানোর মতো অনেক ধূপ আমাদের কাছে থাকে।
তারপর ধূপ জ্বালাতে জ্বালাতে আকাশ আরো ফরসা হলে ভোর
হলে আমরা নিশ্চিত হই নাগিনীদের ভালোবাসা আর আগের মতো নাই।
তখন কেউ একজন
সাপ সাপ বলে চেঁচিয়ে উঠবে
আর আমরা দেখতে পাব
জগলু খাটের উপর সোজা হয়ে শুয়ে আছে আর
তার বুকের উপর কুন্ডলী পাকিয়ে আছে একটা সাপ
আমরা ভেবে পাই না সাপটা এই পৃথিবীর কি না
আমরা ভেবে পাই না সাপটা খুব পাতালের কি না
আমরা ভেবে পাই না সাপটা আদৌ সাপ ছিলো কি না!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন