তারপর,
একদিন এ উন্মাদ বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গেল।
সবকিছু নিয়ে।
অর্ধেক পড়া ক’টা উপন্যাস, গল্পের বই
স্বরচিত কবিতার ঝুলি, কলম ভাঙা পেন্সিল রাবার
আর চশমা।
গায়ে জড়ানোর চাদর,
কিন্তু চাদরের উষ্ণতা বাড়িতেই থেকে যাবে।
আলনার এলোমেলো টি শার্ট, পাঞ্জাবি
ভোর বেলায়, কপালে এঁকে দেয়া বাবার চুমু
মা’য়ের ‘খেতে আয়’ ডাকটা।
বোনের জন্য রোজকার,
আইসক্রিম চকলেট নিয়ে যাবার আবদার
মা’য়ের প্রেসক্রিপশন, বাবার খোকা ডাক।
সবকিছু সাথে নিয়ে বেরিয়ে গেল উন্মাদ।
নাহ্ , তাড়া নেই
সময় করে গুছিয়ে নিয়ে বেরিয়ে গেল সে।
নিজের সাথে প্রতিনিয়ত লড়াই করা নিজস্বতা,
ওটাকেও চার দেয়ালে রেখে গেছে সে।
কফির মগ, চা’য়ের কাপ
উবে যাওয়া সেসব মুহূর্ত,
সব আজ বেকার বিরক্ত পরিত্যক্ত।
অভিমানে ছুড়ে ফেলা কবিতার খাতাটা,
শত সহস্র গানের কথা,
যা সে সেই শৈশব থেকে রপ্ত করে এসেছে
সব, সব ফেলে রেখে এসেছে।
আসন্ন শীতের রাতে, হালকা কুয়াশা ঘেরা
রেলস্টেশন এ বসে সে।
অপেক্ষা, সব ছেড়ে ছুড়ে নতুন কিছু বার্তা নিয়ে আসা
ট্রেনের জন্য বসে সে।
একি , উঠে গেল উন্মাদ
আসল জিনিসটাই তো ফেলে আসা হয় নি তার
‘মন’ ।
মন ওজন
বড্ড ওজন, ভারী ।
চলবে..
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন