আফ্রিকার অধিবাসী
হাসিব মহিউদ্দিন
দুন্দুভিনাদের সরোবরে চলছিল শিকারের খেলা
উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টির পাখিটি সরোবর কোল ঘেঁষে;
দিয়েছিল প্রাণের স্পন্দন।
আকাশে তখন ছিলো আবেগজড়িত মেঘের আত্মম্ভরি
তবুও আসেনি সাদা মেঘের ফাঁকে আগত আলো,
কোথায় যেন ছিন্ন হয়ে গেছে নানান পশুর বিচরণ।
চারিদিকে শুধু অন্ধকার,
বিরাজের চিহ্নটি রেখে গেছে মানুষের পদচিহ্ন।
আবিল গায়ের লোকেরা ছোট্ট ভূষণে ঢেকেছে
নিজেদের ক্লিশ তনু।
আফ্রিকা যেন এক নীরবতায় ঘেরা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ;
বনের ফাঁকে যেটুক রোদের খেলা চলছিল
একটু পরে দেখি নেই সেই আলোর চিলতে।
অবিরাম মেঘের আত্তম্ভরি ভেঙে এসেছে জোয়ার
এদিকে বনের ফাঁকে উপজাতি প্রাণের আহার উদ্দেশ।
কৃষ্ণ কায়া কল্মষ মেখে যেন ছুটে চলে
অবিরাম সেই ছুটে চলা।
তাদের হাতের বর্শা যেন রুধিরের আহ্বান করে
প্রাণের বিষাদ মেখে ছায়াবৃতা আফ্রিকা জেগে উঠে।
চারিদিকে তার বৃষ্টির আবেশ মেখেছে উপজাতি দল,
ধুয়ে গেছে শিকারের রক্ত চণ্ড বেগে;
ফিরে আসে শিকারের বিশাল সমাহারে জাগায় ক্ষুধা
তৃষ্ণা মিটায় বৃষ্টির জলে,
আর তার সাথে যেন মেতে উঠে অন্ধকার বাসিন্দারা।
আহারের পর্ব সেরে করে চলে ভজনা
দৈত্যাকার মূর্তির কাছে করে প্রাণ বলি দান।
তরতাজা খাসী দেয় অর্ঘ্য দেবতার পায়ে
দেবতার সন্তুষ্টি পেতে এসব আয়োজন,
অথচ সরোবরে বসে থাকা সাদা পাখি জানায় অন্য কিছ।
বারবার ডেকে বলে ওরে প্রাণ দেবতা সে নয়,
পাখিটির কথা বোঝার শক্তি নেই মানুষের।
তাই সব হয় ফিকে
অমন জীবন অববাহিকায় মেখে রয় আফ্রিকার বাসিন্দারা।
জাগ্রত স্বরের এক নিগূঢ় ষড়যন্ত্র এঁকে বসে মার
তাই সেই খাসীটির হলো প্রাণ বিসর্জন,
পুলকিত হলো অধিবাসীদের ম্রিয়মাণ পশুত্ব।
ধীরে ধীরে নেমে আসে সন্ধ্যার শীতল সমীর
নেই তেমন ফরক সন্ধ্যা আর সকালের।
প্রদোষের বাতি তারা জ্বালিয়ে করে রাতের আয়োজন
তার মাঝে জেগে উঠে বুনো মাতালতা,
নিজেদের গানের বহরে জেগে উঠে বিধাতার অভিশাপ।
তাই আজো তারা পারেনি হতে সভ্য মানুষ;
জানোয়ারের রূপভেদে জেগে উঠে নির্মমতা।
চাঁদের দিকে চাওয়ার সময় নেই আর
এখন যে হবে তাদের বর্বর খেলা।
এভাবেই কেটে চলে আফ্রিকা অধিবাসীদের জীবন চিত্র
বিধাতার করুণা বুঝি ঢেকে দেয় ঘন শাখীর আবরণ;
সূর্যের আলো সেখানে যায়না করুণার মতো।
তবুও চলছে প্রাণ আজো তাদের আদিকাল হতে,
এই বুঝি আফ্রিকা আর তার সকল আয়োজন।
উদ্ভ্রান্ত দৃষ্টির পাখিটি সরোবর কোল ঘেঁষে;
দিয়েছিল প্রাণের স্পন্দন।
আকাশে তখন ছিলো আবেগজড়িত মেঘের আত্মম্ভরি
তবুও আসেনি সাদা মেঘের ফাঁকে আগত আলো,
কোথায় যেন ছিন্ন হয়ে গেছে নানান পশুর বিচরণ।
চারিদিকে শুধু অন্ধকার,
বিরাজের চিহ্নটি রেখে গেছে মানুষের পদচিহ্ন।
আবিল গায়ের লোকেরা ছোট্ট ভূষণে ঢেকেছে
নিজেদের ক্লিশ তনু।
আফ্রিকা যেন এক নীরবতায় ঘেরা বিচ্ছিন্ন দ্বীপ;
বনের ফাঁকে যেটুক রোদের খেলা চলছিল
একটু পরে দেখি নেই সেই আলোর চিলতে।
অবিরাম মেঘের আত্তম্ভরি ভেঙে এসেছে জোয়ার
এদিকে বনের ফাঁকে উপজাতি প্রাণের আহার উদ্দেশ।
কৃষ্ণ কায়া কল্মষ মেখে যেন ছুটে চলে
অবিরাম সেই ছুটে চলা।
তাদের হাতের বর্শা যেন রুধিরের আহ্বান করে
প্রাণের বিষাদ মেখে ছায়াবৃতা আফ্রিকা জেগে উঠে।
চারিদিকে তার বৃষ্টির আবেশ মেখেছে উপজাতি দল,
ধুয়ে গেছে শিকারের রক্ত চণ্ড বেগে;
ফিরে আসে শিকারের বিশাল সমাহারে জাগায় ক্ষুধা
তৃষ্ণা মিটায় বৃষ্টির জলে,
আর তার সাথে যেন মেতে উঠে অন্ধকার বাসিন্দারা।
আহারের পর্ব সেরে করে চলে ভজনা
দৈত্যাকার মূর্তির কাছে করে প্রাণ বলি দান।
তরতাজা খাসী দেয় অর্ঘ্য দেবতার পায়ে
দেবতার সন্তুষ্টি পেতে এসব আয়োজন,
অথচ সরোবরে বসে থাকা সাদা পাখি জানায় অন্য কিছ।
বারবার ডেকে বলে ওরে প্রাণ দেবতা সে নয়,
পাখিটির কথা বোঝার শক্তি নেই মানুষের।
তাই সব হয় ফিকে
অমন জীবন অববাহিকায় মেখে রয় আফ্রিকার বাসিন্দারা।
জাগ্রত স্বরের এক নিগূঢ় ষড়যন্ত্র এঁকে বসে মার
তাই সেই খাসীটির হলো প্রাণ বিসর্জন,
পুলকিত হলো অধিবাসীদের ম্রিয়মাণ পশুত্ব।
ধীরে ধীরে নেমে আসে সন্ধ্যার শীতল সমীর
নেই তেমন ফরক সন্ধ্যা আর সকালের।
প্রদোষের বাতি তারা জ্বালিয়ে করে রাতের আয়োজন
তার মাঝে জেগে উঠে বুনো মাতালতা,
নিজেদের গানের বহরে জেগে উঠে বিধাতার অভিশাপ।
তাই আজো তারা পারেনি হতে সভ্য মানুষ;
জানোয়ারের রূপভেদে জেগে উঠে নির্মমতা।
চাঁদের দিকে চাওয়ার সময় নেই আর
এখন যে হবে তাদের বর্বর খেলা।
এভাবেই কেটে চলে আফ্রিকা অধিবাসীদের জীবন চিত্র
বিধাতার করুণা বুঝি ঢেকে দেয় ঘন শাখীর আবরণ;
সূর্যের আলো সেখানে যায়না করুণার মতো।
তবুও চলছে প্রাণ আজো তাদের আদিকাল হতে,
এই বুঝি আফ্রিকা আর তার সকল আয়োজন।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৫১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন