আজ রাতে আমার লিখবার কিছু নেই।শুধু নীলাদ্রি মেয়েটা আমাকে সারারাত জাগিয়ে রাখবে–যেনো এটা একমাত্র জীবনব্রত তার।তাকে আমি রাতভর এস এম এস করে যাই।সে কোনো রিপ্লাই করে না শুধু শেষ রাতে শুভরজনী লিখে পাঠিয়ে দেয়।এরকম চলছে দীর্ঘ ১২বছর ।আমাকে জাগিয়ে রেখে কষ্ট দিতে সে নাকি সুখ পায় খুব আর এটাই নাকি প্রকৃত ভালবাসা, যে – প্রেমিকার জন্য প্রেমিক থাকবে অনন্তকাল জেগে।শুধু একটি শুভরজনী পাবার জন্য অনন্তকাল জেগে থাকা হলো নীলাদ্রির প্রেমিক হবার শর্ত।আর এই শর্তে নাকি আমি ব্যতিত অন্য কোনো প্রেমিকই সম্মত হতে পারেনি।নীলাদ্রির সঙ্গে প্রেম হলো এক অনন্তকালের খেলা।অন্য কোনো প্রেমিক এই অনন্ত খেলায় বোকার মতো বিশ্বাসী নয় বোলে রাজি হতে একদম মুখরিত নয় প্রেমের এরকম অদ্ভুত খেলায়। প্রেমিকগণ শুনেই “ওরে মাগো” বোলে ভেগে গেছে।মাঝেমাঝে আমি নিজেকে প্রশ্ন করি আমি কেনো রাজি হলাম এরকম নির্মম প্রেমের খেলায়।এর কি আদৌ কোনো যৌক্তিক উত্তর হতে পারে!যৌক্তিক না হোক তবু আমার কাছে একটি উত্তর আছে যা একান্ত আমার উদ্দেশে,অন্য কারো উদ্দেশে নয় মোটেই ।উত্তরটি হলো—-অন্য কেউ নীলাকে দেখে অন্ধ হতে পারে নি শুধু আমিই পেরেছিলাম । প্রেমের দেবতা কিউপিড অন্ধ ছিলেন।প্রেম মানেই নাকি অন্ধ কিন্তু এই ডিজিটাল আর ভার্চুয়াল জমানায় চোখ বলে কিছু নেই তাই অন্ধ হবারও প্রশ্ন আসে না।অনন্তকাল জেগে থাকবার পরেও আমার সান্ত্বনা শুধু এইটুকু — কিউপিডের মত অন্ধ হবার পরেও আমার একটি চোখ আছে যে চোখ একদিন নীলাদ্রির শুভরজনী শেষ করে দিয়ে সুর্যকে অনন্তকাল ঝুলিয়ে রাখবে আকাশের ঢালে। নীলাদ্রি আর কোনোদিন লিখতে পারবেনা -শুভরজনী।নীলাদ্রিকে হবে লিখতেই-সুপ্রভাত।তারপর আমি আমার অন্ধ চোখ দিয়ে নীলাদ্রির দিকে তাকিয়ে থাকবো অনন্তকাল আর প্রমাণ করে যাবো- দৃষ্টি আর দেখা কখনো এক নয়।যে চোখ অন্ধ হয়েছে প্রেমে সেখানে রেটিনার কোনো প্রয়োজন নেই

৩৬
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন