যুবক অনার্য

একদিন নীরবে যাবো চলে

পিঁপড়ের মুখ থেকে
আহার কেড়ে নেবে বুনো হাতি
জল কবুতর আলতো পায়ে হেঁটে
উঠোনে আসবে আমাদের
বিজ্ঞ অতিথির ঢঙে
আমরা আরো একবার মুগ্ধ হবো
দেখে নিয়ে সোনাদি বিলের
উদাসিনী ঘের
নিছক আত্ম অহমিকায় টাকার কুমির ফিরিয়ে দেবে
গ্রন্থিকগণের বিনীত পঙ্ক্তিমালা
বিনোদিনী রাইয়ের কৃষ্ণ-দর্শন
আর আমাদের প্রেমের মধ্যে
যোজন দুরত্ব-সারগাম নিয়ে
রচিত হবে হিপ হপ টানাপোড়েন
‘ তাহারে দেখিনি দেখিয়াছি রূপ তার’-
মন্ত্র জ’পে সান্ত্বনায় থাকবে ডুবে
পুরনো প্রেমিক
বহুদিন অন্নবস্ত্রহীন থেকেও সুজন সাঁই পাবে না সন্ন্যাস খ্যাতি
তব দুঃখেই কি সে রচিয়াছে –
তোর লাগিয়া অর্জুন আমি
দ্রৌপদী তুই না!
সংসার সারাৎসার ভেঙে
পালাতে চেয়েছিলো মানিকের শশি
আত্মনহন তবে কি জীবন বাবু
নিয়েছিলো বেছে আটটি বছর আগে –
এসব ভাবনা আজ কবিতায় নেই
গদ্যেও নেই হয়ে গেছে
এরচে বরং ধোঁয়া ওঠানো চা,
টহলদার রাজনীতি –
বাংলার নিরাপত্তা নিয়ে কথা বোলে
খুন হয় তরুণ বুয়েটিয়ান
বধির দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে
ব্যালট না থাকা জনগণ
বহুদিন অন্নবস্ত্রহীন থেকেও
মানুষেরা পেলো না অধিকার
মন খুলে কথা বোলবার
চায়ের পেয়ালা- টহলদার রাজনীতি
মানুষেরা চুপ করে আছে
আরো বেশি নিশ্চুপ ভঙিমায়
একদিন রক্তের হোলিখেলা হবে
একদিন এই দেশ আমাদেরই হবে
একদিন সেইদিন সুজন সাঁই
সমস্ত ব্যর্থতা কাঁধে নিয়ে
মিছিলের প্রতিভায় সুর্যের দিন
খুঁজে নেবে।

নারী ও কবিতার কাছে
প্রত্যাখ্যাত আমি
একদিন সেইদিন
খালাপাড়ে আমাদের আত্নহননের
গল্পগুলি বোলে দিয়ে
নীরবে যাবো চলে
একদিন আমি চলে গেলে
পৃথিবী নীরব হয়ে যাবে।

৭৮
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন