রাজুর যখন ঘুম ভাঙলো ঘড়িতে ৭ টা ৪৫ মিনিট।আজ কলেজে যেতে হবে সকাল ৯ টায়।আরো খানিকটা ঘুমিয়ে নিলে কেমন হয়! পুনরায় রাজুর ঘুম ভাঙলো ৮.৩৫- এ।১০ টার ক্লাসে ঢুকে ১০.৪৫- এ বের হয়ে রাজু শেখ ফরিদের চায়ের স্টলে একা একা চা খাচ্ছে।সোহেলকে ফোনে পাওয়া গেলো না।অস্ট্রিক গতকাল চট্টগ্রাম চলে গেছে।অগত্যা রাজু ফোন করে সাচিকে আসতে বললো।
আরো এক কাপ চায়ের অর্ডার হলো।
সাচি বললো- স্যার,আজ ঢাকা যাবেন কয়টার দিকে?
যেতে যেতে সন্ধ্যা গড়িয়ে রাত হবে।
সাচি চায়ে তৃতীয় চুমুক দিয়ে বললো – আপনার অনুবাদের পান্ডুলিপি টাইপ করা প্রায় শেষ পর্যায়ে।
থ্যাংকস
-আপনার মৌলিক লেখার অবস্থা কী
ভালো না
-মৌলিক পান্ডুলিপি কি আর বের করবেন না?
টাকা নেই
চায়ে চতুর্থ চুমুক
– স্যার
বলো
-সুধীনদার খবর কি?
অনেকদিন যোগাযোগ নেই
-আমাকে গত পরশু ফোন দিয়েছিলো
কী বললো?
-বললো আপনাকে দেখা করতে
দেখা করলেই টাকা চাইবে।আমার হাত প্রচন্ড খালি
-উনি তো অন্যদের পেছনে টাকা খরচ করেন কিন্তু আপনার কাছে টাকা চায় কেনো!
কী বলবো বলো।আমার যে ক্রাইসিস- এটা উনি বিশ্বাস করতে চান না।
-আপনি আসলে বেশি নরম তাই পেয়ে বসেছে
রাজু চায়ে সপ্তম চুমুক দিয়ে বললো- তুমি বাকিটা টাইপ করে ফেলো।আজ উঠলাম।
ফরিদকে চায়ের বিল দিয়ে রাজু চলে গেলো।সাচিও চলে গেলো সেবা ডায়াগনস্টিকে।সপ্তাহখানেক হলো সাচি সেবা ডায়াগনস্টিকে জয়েন করেছে।
রাজুর দ্বিতীয় ক্লাস ১২.১৫ টায়।ক্লাস শেষ করে শেখ ফরিদের দোকানে একটা আদা চা খেয়ে রাজু বাসায় চলে এলো।
‘অন্তর্জলী যাত্রা’র ১৭ নং পৃষ্ঠায় যেতেই রাজু ঘুমে তলিয়ে গেলো।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন