কবিতা - চন্দ্রচূড়

কুন্তল মন্ডল

করুন বলয় চন্দ্র আজি –
ক্ষয়রোগ হতে হয়েছে পরিত্রান।
নীরব নীলোৎপল গগন মাঝ –
আজ করে তারে আহ্বান।।
কত কাল স্ফটিক রুপে –
অপ্রকাশিত ছিলেম গগন ক্ষেত্র।
ঋদ্ধি সমাজ বাঁধে সুর –
চরাচর প্রকাশিত যেন নব নীল ক্ষেত্র।।
নীরব চন্দ্র বলয় আজি –
উঠিছে হয়ে চঞ্চল।
মুগ্ধ শশী হয়েছে মূখর –
বিতোরিতে নিজ প্রকাশ অঞ্চল।।
পূর্ণ প্রস্ফুটিত বিধু আজি –
অমোঘ প্রকাশ পথে ধাবমান।
ঘোর নীলাভ গগন আজি –
শশীর আলোকে পূণ্য বাহমান।।
গগন মাঝে বিরাট ঘোর ক্ষেত্র –
সিতাংশু-র স্নিগ্ধ ছটায় পূর্ণ।
দরোশনে মম ক্ষনিকের জীবন –
প্রাপ্ত করেছে অপার পূণ্য।।
দরোশন কেবল শশীর –
অমোঘ আলোক ছটা নহে।
সনে দরোশন পাহি আমি –
শশী-শেখর‌ও মম অন্তরে।।
শশী সনে শশী-শেখর –
দরোশন করি ব্রোভান্ড পটলে।
জটাধর জটে শশাঙ্ক –
সুশোভিত ভাল রত্ন রুপে।।
সোম বলয়ের অর্ধ দেহে –
বিরাজিত দেবালয়ের শ্রীরত্নালয়ে।
প্রনীপাত করি মম অন্তর হতে –
বিশ্ব রুপি শশী শেখরের শ্রী কমলে।।
নূতন করে বিশ্বের পরিত্রান –
চাহি মম স্নিগ্ধ অন্তর হতে।
তুমিই পশুপতিনাথ –
পূর্ণ জাগরন ঘটো সবার শ্রী অন্তরে।।
“জয় ভবানী পতি শশী শেখরের জয়”।
শশীর ক্ষয় রুপি শাপ মোচন,
পশুপতির কৃিপায়- ইন্দুরাজের জয়, ব্রোভান্ডের জয়।।
তবেই পেয়েছি মোরা –
এ নব কলেবরের নিশাকর।
ভোলার দানে ভাল রত্ন –
অঙ্কিত পুরানে, প্রকাশিত করে দিবাকর।।

পরে পড়বো
৩৩
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন