এই যে শিল্পীত নিকোনো উঠোন, কচিমুখের দুধদুধ গন্ধ, আর
এই যে সনাতনী তৈজষপত্রের কেবলই সুনসান সংসার-
এর কোন কিছুই আমাকে কোনদিন ভাবায়নি……
এতদিন জীবনের ঘানিখানি
বাধা ছিল কেবলই স্বপ্নের পরা-বাস্তবতার মধুর বন্ধনে……
চারিদিকে এই যে রঙ-ঝরা কিংশুক-ফাল্গুনে
ফুলপাখি, চাঁদের হাসি, নিরাকার কথকতার মধুমাখা সুর
স্বপ্নের বিভাবনে এতদিন ছড়িয়েছিল সোনামুখী রোদ্দুর
তারা সকলে। তোমার গায়েবী সান্নিধ্য এতদিন আমায়
তিলেতিলে করেছিল মহাবির, বুদ্ধ কিংবা রামানুজ প্রায়
আজ তোমারই জীবন-ঘনিষ্ঠ সাতরঙা হাসির হররায়
আমার সে ব্রতচারীদশা কেমন শেষ হয়ে যায়
সহসা! তোমার চৈতালি রূপের বারোয়াড়ী মেলায়
আজ আমি দক্ষ কালোবাজারির ন্যায়
কোন এক দক্ষ অনুসন্ধানী নিশাচর……
হতে পারি আজ আমি আরো ভয়ংকর
কোন এক বিরল স্বৈরাচারী……
তোমার সবকিছুর কিছু হরণকারী…..
আমি আজ প্রস্ফুটিত আগ্রাসী তাপ ও চাপের এক ভিলা,
যেখানে তুমি ইচ্ছার-অনিচ্ছার এক রূপান্তরিত শিলা।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন