ফুটিফুটি করে থাকা অস্ফুট কুড়ির মতো সে এখন আর সে নাই
এখন তারে প্রকৃতির ছোঁয়ার মতো ফিরেফিরে পাই
পুব হতে মধ্যাহ্ন হয়ে পশ্চিমে এক অমোঘ সূর্যের দিকে চায়,
কী নিবীড় অব্যাহত চাওয়া! ক্ষণেক্ষণে মৌলিক রঙ বদলায়
প্রকৃতির সাত রঙের শত মিশ্রণে যেন সে
নিজেকে বেশ রাঙিয়েছে
এই গেরস্থলীর ঘাটেঘাটে, তটেতটে;
এক অবাক কুশলী কর্মী বটে!
সে কখনো পড়ন্ত বেলার সৌম্য নদী হয়ে যায়
আর ঝিলিমিলি ঢেউ তুলে গোধূলি কাটায়
আবির-জলের শীৎকারে
জানি অতঃপর সে খুঁজবে সেই তারে
যে পারে চিরদিনের সার্থক নাবিক হতে
আঁধার-ঢাকা রাতের নদীতে;
পারে কাংখিত প্লাবন ঘটাতে, প্লাবন থামাতে
আর সমুদয় জার্নিটাকে একটা কমেডি গল্প বানাতে
এক সফল প্রত্যুষের অপেক্ষায়।
অতঃপর নদীর পা ছুঁয়ে হাজির হয়ে যায়
কামনার অধিক কোন প্রত্যুষ সীমাহীন লাবন্যভরা অঙ্গে
নদী সবটুকু লাবন্য মেখে নিয়ে আলোর বর্ণালী স্রোতের সঙ্গে
হঠাৎ শিশিরে গা ভিজিয়ে এক ঘাসফুল হয়ে যায়;
এক গোপন লয়ে চারিদিকে মাধুরী কাব্য ছড়ায়
প্রত্যুষ আর একটু বয়স বাড়িয়ে প্রভাত হয়ে ওঠে,
আর সাথেসাথে কাব্যকামিনী ঘাসফুল এক চপলা সূর্যমুখী হয়ে ফোটে
পুব হতে মধ্যাহ্ন হয়ে পশ্চিমে; সকলের আকাংখায়
সে পুষ্টিজল ছিটিয়ে যায়।
সারা দিনমান এমনি করে
প্রকৃতির তাবৎ রূপ-রং-রস অঙ্গে ধরে
সে ক্রমান্বয়ে এক ঝিনুক-বালিকা হয়ে ওঠে;
সকলেরে রিনিঝিনি স্বরে বিমুগ্ধ করে সকলের কাংখিত সে হয়ে ফোটে।
নিজের বিমুগ্ধ ভালোলাগার মাতাল হাওয়ায় মেতে
অপেক্ষা শুধু সেই গোধূলি ক্ষণের, পুনর্বার এক ঝিলিমিলি নদী হয়ে যেতে।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন