দিব্যচোখে দেখি-কেবলই ছায়ার মত নষ্ট মানুষের ভিড়,
ভিড় করে আছে চারিদিকে। নিঃশ্বাসের সঙ্গী নেই, বিশ্বাসের নীড়!
সেতো অনেক দূরের আওয়াজের মতন,
দূর আকাশের স্বপন…
যুগের সাথে যুগলবন্দী এই ডামাডোলে
মিশে যাবো হাওয়ার মত কোন এক বেজন্মা কবিতার ছলে
নষ্ট মানুষের সাথে- এতটা নষ্ট মানুষ আমিতো নই!
কোথায় গেল তোমার সোনার মানুষ, সুবর্ণভূমি কই?
ঈশ্বর বলো কার চরণ চুমি?
কাকে বল গিনি সোনা, কাকে বলো পরশপাথর তুমি?
যাকে ঈশ্বর মেনে জীবন করেছি তরল
ভৃত্যের মতো নির্দেশ মেনেছি, সুধা মেনে পিঁয়েছি গরল-
সেই তাকে দেখেছি অন্ধকারের সাথে নিঃশব্দে মিশে যেতে,
যেমনই সন্ধ্যার কুয়াশা-রঙের সাথে
নিঃশব্দে মিশে যায় দিশেহারা
হেমন্তের কুয়াশারা…
মানুষের প্রগাঢ় সে নষ্টামির রঙ
বড়ই রঙচোরা, কেবলই বেরঙ-বেঢং
তারা আপাদমস্তক। কে তুমি সিদ্ধ শিল্পী! কিবা সাধ্য তোমার-
এঁকে যাবে নিয়তির জলছবি ভাগ্যের এপার-ওপার
এই আপ্রান্ত নষ্ট ক্যানভাস ভরে?
জানি- বিবেকের বাঁশি তোমার নবসুরে নবস্বরে
খেলতে চায় আবার- এ তোমার বৃথা বাসনা, অকারণ আশা
জানি- তুমিও সহসা
বেতাল-বেসুরো, খেইহারা হবে
একদিন, অতঃপর কক্ষচ্যুত নক্ষত্রের মতন হারিয়ে যাবে
তলহীন কোথাও কিংবা কোন নিরুদ্দেশ…
একদিন জানি- হয়ে যাবে নিশ্চিত এক সমাপ্ত শেষ! ।
(জীবনে এরকম অনেক রংচোরা নষ্ট মানুষের সাথে আমার দেখা হয়েছে।)

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন