২২ বছর পরে হে, প্রতিকৃতি! তুমি আজ আর
শুধু প্রতিকৃতি নও: তুমি আজ ১৫ কোটি জনতার
উচ্ছল জীবন যেন শান্তির রাজপথে সোনার আলোয় ধোয়া
চতুর্দিকে সবুজে সবুজে শুধু তোমারই প্রাণের ছোঁয়া…
উদ্বেলিত হৃদয় নিয়ে পুষ্পের মালায় মালায়
আমরা মানুষ, শুধু মানুষ আজ সৃষ্টির প্রতিজ্ঞায়
কেবলই উর্ধ্বহস্ত। ২২ বছর পরে হে, প্রতিকৃতি!
তুমি সত্য ধ্রুবতারার মতো, সত্য তোমার মাটি, মানুষ-বাঙালি জাতি…
চিরদিন তারা তোমারই রবেই;
সত্য হবেই, সত্য হবেই, সত্য হবেই
একদিন তোমার সে সোনার বাংলার
আজন্ম স্বপ্ন-সাধ তোমার…
(এই অংশের রচনাকাল আগস্ট ১৯৯৭)
পুনশ্চঃ
২৮ বছর পরে এসে আমি একি দেখলাম!
তুমি কিছুই নও! তুমি যে শুধুই প্রতিকৃতি! ঘৃণা যার অপর নাম
তুমি পদদলিত জনতার রাস্তা-ঘাটে, তুমি খান-খান
ক্ষোভ ও রোষের আগুনে তুমি আজ জ্বলন্ত শশ্মান
কেননা, তোমার ক্ষমতা-অন্ধ উত্তরসুরি আজ হারিয়েছে খেই
সে আজ অতিদানব, মাতাল; উদ্দাম নাচে ধেই-ধেই…
সে আজ রক্তের হোলি খেলে
শাশ্বত জীবনকে পায়ে দলেদলে
এক বিদ্ঘুটে জীবনের পথে চলে
শুধু সে গালভরা চেতনার আবির উড়িয়ে
আবার নিষ্ঠুর উপহাসের রত্ন কুড়িয়ে কুড়িয়ে
অহংকারী হৃদয় ভরে সে-
যেন এক অপরাজেয়র উচ্ছ্বাসে,
মনে হয়- সে জীবনের নেশায় মরণ ভুলে আজ হারিয়েছে খেই
তাই, এই মাটি ও মানুষ আর তোমার নেই
তোমার নেই, তোমার নেই…
(এই অংশের রচনাকাল আগস্ট ২০২৪ সাল)

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন