একদিন এসেছিল এক সুনিশ্চিত সময়, যখন আমরা ভুলেছিলাম
তার পরম বিনিময় মূল্য; তাই অকাতরে বিলিয়েছিলাম সেদিন-
সবটুকু লহু, পরমাত্মা, মায়ের স্নেহ, বাবার আশীর্বাদ
ভাই ও বোনের ভালবাসা, যত সাধ-আহ্লাদ
নির্বাক নিষ্পাপ হাড্ডিসার শিশু মৃত মায়ের বুকে খুঁজেছিল সেদিন
ক্ষুন্নিবৃত্তির ধারা। এ অনিবার্য উৎসর্গ ছিল এক পরম প্রাপ্তির আশায়
সেই সুনিশ্চিত সময়টি এখন মেঘের আড়ালে আড়ালে পন্চাশোর্ধ
বয়সের হয়েছে, কিন্তু আমরা হয়েছি কতটুকু পরিণত?
আর কিবা দশা সেই পরম প্রাপ্তির! আমাদের স্বপ্নের পরিণতির!
পরম প্রাপ্তির ফুঁটিফাটা দশা দেখে এক প্রগাঢ় ক্লান্তিতে
এ বুকটা আজ বড্ড চুপসে গেছে, আর স্বপ্নের পরিণতি!
তার বেহাল দশা দেখে বেতাল হয়ে গেছে মগজটা একেবারে
এখনো তো অকারণে রক্ত দিতে হয়, আর পরমাত্মা হাওয়া হয়ে যায়
আদাড়ে-বাদাড়ে, ধানক্ষেত কলাবাগানে।
স্বপ্নরা কুয়াশার মতো অপসৃয়মান, আর পরম প্রাপ্তি!
সেতো রীতিমত শৃঙ্খলিত; বলা যায় অন্যের সেবাদাস।
তবে সেই সে মৃত্যু-পণ, অকাতরে সকল বিসর্জন;
তার বিনিময় আজ এই সকলের দশাহীন দশায় অবতরণ!
এই কি তবে সেই পন্চাশোর্ধ স্বপ্নের কাংখিত উত্তরণ!
(আজ ২৬ মার্চ; এটাই আমার অনুভূতি)
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন