প্রতিদিন ভোর হয়, জীবন স্রোতের মত চলে
কারও কারও ভোরে আর একদিন সূর্য ওঠে না
সূর্যকে আমি তাই ভয়ংকর দিব্যি দিয়ে বলি
আমি না জাগলে তুমি উঠবে না ভোরের আকাশে।
আমি না,থাকলে সূর্য উঠবে কী করে
কী,করে ফসল হবে নবান্নের মাঠে?
কমে যাবে প্রতিবাদী মেয়েদের গলা
পৃথিবীটা মুহূর্তের জন্য থেমে যাবে।
তোমার কপালরেখা কাঁপে তিরতির
তোমার বুকের মধ্যে উদ্বেগ নড়ছে
তোমার মুখের মধ্যে শুশ্রূষার মুখ
আমাকে সারিয়ে তোলে তোমার সাহস।
একটু একটু করে আমি সেরে উঠি
একটু একটু করে জল দাও তুমি
একটু একটু করে আগুনে পা দিই
দুই হাতে রুখে দাও খাঁ খাঁ মরুভূমি।
চল্লিশ চাঁদের আয়ু, না বুঝে লিখেছি
এখনও অনেক কাজ বাকি আছে,যাবই না আমি
দু’-দশ বছর আরও তোমাদের জ্বালাব পোড়াব
না রে মৃত্যু আজ আর তোর জন্য সময় হবে না।
শিশির,তোমার কেন কোনোদিন অসুখ করেনা?
রোদ্দুর কখনও বুঝি মনখারাপ হয় না তোমার?
সারস তোমাকে কেউ প্রতারণা করেনি কখনও?
আমিও শিশির হয়ে, রোদ্দুর, সারস হয়ে থেকে যেতে চাই পৃথিবীতে।

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন