সেন মামা
সেন মামা
মিলন পুরকাইত

গল্প - সেন মামা

মিলন পুরকাইত
সোমবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৫ জীবনবাদী, রম্য

সকালবেলা পাড়ার মোড়ের ধারে ছোট্ট এক টিনের ছাউনি দেওয়া চায়ের দোকানে ভিড় জমে গেছে। দোকানের সামনের বড় সাদা ব্যানারে লেখা, ‘সেন মামার চায়ের আড্ডা’।

আমি সেই দিন শ্রীরামপুরে ব্যাংকের কাজে ছিলাম। কাজ শেষ করতে করতে একটু দেরি হয়ে গিয়েছিল। অনেকক্ষণ জল খাওয়া হয়নি। গলাটা শুকিয়ে এসেছিল। বাইরে বেরিয়ে দিক – দিক তাকাতেই চোখে পড়ল দোকানটা। ছোট্ট জায়গায় এত ভিড়, আশ্চর্যই লাগছিল। স্কুল – কলেজের ছেলে-মেয়েরাও ছিল, পাশাপাশি অফিসের লোকজনও দাঁড়িয়ে বা বসে চা খাচ্ছিল।

আমিও তখন গলা ভেজানোর জন্য ধীরে ধীরে এগিয়ে গেলাম দোকানটার সামনে।

তখনই ভেতরে যাকে দেখলাম, তাকেই দেখে খুব চমকে গেলাম। মধুসূদন সেন? সেই মধুসূদন সেন যার ছেলে আমার ক্লাসমেট ছিল? সেই মধুসূদন সেন যার মেয়েকে আমি আড়াল থেকে দেখতাম আর যাকে নিয়ে অনেক মিষ্টি স্বপ্ন দেখেছিলাম একটা সময়? সেই মধুসূদন সেন যার ছেলে আর মেয়ে দুজনেই স্কুলে যাওয়া-আসা করত একটা বড় কালো রঙের মার্সিডিজে চড়ে? সেই মধুসূদন সেন যিনি শ্রীরামপুরের একজন বড় বিল্ডিং কনট্র্যাক্টর ছিলেন? যারা প্রতি বছর তিন-চারবার বিদেশ ভ্রমণ করতেন, আর ফিরে আসার পরে ছেলে-মেয়ে আমাদেরকে সেই গল্পগুলো বলত, ছবি দেখাত? সেই মধুসূদন সেন যার মেয়ের আর ছেলের বাবার টাকার প্রতিপত্তি আর ক্ষমতার জেরে মানুষ আর তাদের প্রতি সহজে দাঁড়াতে পারত না? বয়সের কারণে এখন মানুষের শরীরে আর সেই জেল্লা নেই। সেই দাপট আর অহংকার নেই। এখন উনি দোকানের ভেতরে দাঁড়িয়ে চা তৈরি করছেন। সঙ্গে আরও দুটো ছেলে আছে, তারা দুজনে মিলে নানান ধরনের খাবার বানাচ্ছে। নুডলস, স্যান্ডউইচ, ঘুগনি, পরোটা, ডিম সেদ্ধ এবং আরও কত কী।

আমি আবার দোকানের নাম ভাল করে দেখলাম। ‘সেন মামার চায়ের আড্ডা’…মনে মনে হেসে উঠলাম। সময় মানুষকে কোথায় টেনে এনে নামিয়ে দেয়!

আমি গিয়ে বসলাম একপাশে। চায়ের অর্ডার দিলাম। সাথে এক প্লেট ঘুগনি আর পরোটা। মধুসূদন আংকেল নিজে এসে আমাকে চা দিয়ে গেলেন। তারপর ভেতরে যেতে যেতে হঠাৎ ঘুরে এসে কাঁপা কাঁপা ফ্যাসফ্যাসে গলায় জিজ্ঞেস করলেন, তোমা…সরি, মানে আপনাকে খুব চেনা লাগছে। কোথায় দেখেছি…

আমি আবার চমকে উঠলাম। একটা সময় ছিল যখন মধুসূদন সেন মানুষকে মানুষ হিসেবে ভাবতেন না। নিজের প্রয়োজন ছাড়া কারোর সাথে কথাও বলতেন না, আর আজ উনি নিজে আমার সঙ্গে কথা বলছেন? আমি হেসে বললাম, ঠিক বলেছেন সেন মামা। আমি আর রোহন একই ক্লাসে পড়তাম। আর অনন্যা… মানে আমি আপনাদের বাড়িতে মাঝে মাঝে আসতাম। আমি, রোহন আর অনন্যা, আমরা তিনজনে একসাথে খেলতাম। আমার নাম…

ওহ, হ্যাঁ। মনে পড়েছে। অনিরুদ্ধ, অনিরুদ্ধ দত্ত, রাইট। যাক। স্মৃতিশক্তি এখনও আমার বেশ স্ট্রং আছে। তাই না? আচ্ছা, তুমি বোসো। চা খাও। আমি একটু পরে আসছি তোমার কাছে।

মধুসূদন সেন ভেতরে চলে যেতেই বেশ কয়েকজন আমার দিকে অবাক হয়ে তাকাল। তারপর একজন জিজ্ঞেস করলেন, আপনি ওনাকে চেনেন?

হ্যাঁ। মানে ওনার ছেলে আর আমি, আমরা একই ক্লাসে পড়তাম। কিন্তু আমি তো বুঝতে পারছি না উনি এখানে এই অবস্থায়…

আর একজন বললেন, কেউ ওনাকে আজ মধুসূদন সেন বলেন না। এখন উনি আমাদের ‘সেন মামা’ – যিনি চায়ের সাথে গুলে দেন সাহস, জেদ আর জীবনের কড়াভাজা গল্প।

আমি কিছু জিজ্ঞেস করার আগেই উনি বললেন, কিন্তু এই মানুষটার গল্পটা এমন ছিল না সবসময়।

এক সময় মধুসূদন সেন ছিলেন শহরের বড় বিল্ডিং কনট্রাক্টর। টাকাপয়সার অভাব ছিল না। গাড়ি, বাড়ি, বিদেশ ঘোরা – সব ছিল। ছেলে চলে গেল কানাডায়, মেয়ে ব্যাঙ্কে চাকরি করে পুনেতে। স্ত্রী অনুরাধার সাথে বিশাল বড় ফ্ল্যাটে দিন কাটত ওনার। বৈভব আর সুখে স্বাচ্ছন্দে জীবন যাপন করতেন।

কিন্তু হঠাৎ এক দিনেই সব ভেঙে পড়ে। লোকাল পার্টির পার্টি ফান্ডে টাকা না দেওয়ার কারণে, ওনার বিরুদ্ধে সাজানো দুর্নীতির অভিযোগ আসে। কয়েকদিন পরে ওনার লাইসেন্স বাতিল হয়। একটি অ্যাক্সিডেন্টে কয়েকজন কর্মচারীর মৃত্যু হয়, প্রোজেক্ট সাইটে। কোম্পানির লোকেরা পালিয়ে যায়, বন্ধুরা সরে দাঁড়ায়। মামলা, কোর্ট, ধার-দেনা – বাড়ি, গাড়ি সব বিক্রি হয়ে যায়। স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন, আর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই অনুরাধা চলে যান।

সেই সময় ছেলে-মেয়েরাও দূরে সরে যায়। ছেলে ফোনও করত না, মেয়ে বলেছিল, বাবা, আমরা আমাদের মতো আছি, তুমি বুঝে নিও।

মধুসূদন সেন, যিনি এক সময় অফিসে ঢুকলে দশজন দাঁড়িয়ে যেত, যিনি কখনও গাড়ি ছাড়া কোথাও যেতেন না, যার বাড়িতে পার্টি মানে শহরের সব অভিজাত মানুষ আসাযাওয়া করতেন, তখন উনিই এক ভাঙাচোরা কামরার ভাড়ায় থাকতে শুরু করেন। ওনার বয়স তখন বাহান্ন। কিন্তু ভেতরে ভেতরে উনি অশীতিপর হয়ে গিয়েছিলেন।

এভাবেই দশটা বছর কেটে যায় এমনই এক নিঃসঙ্গতা আর অভাবের মধ্যে। কাজ খুঁজতে শুরু করেন। কিন্তু বয়সের কারণে কেউ ওনাকে কোনও কাজ দেন নি। কখনও রেশন দোকানে ভিড়ে দাঁড়িয়ে, কখনও পাড়ার গলিতে বসে সারাদিন কাটত ওনার। পেনশনের ব্যবস্থা ছিল না। সব ছিল কোম্পানির ওপর নির্ভর। কিন্তু ওদিকে কোম্পানিতে তালা পড়ে গিয়েছিল।

ওনি তখন পুরনো লোকজনের কাছে গিয়ে হাত পাতলেন। যাদের উনি এক সময় সাহায্য করেছিলেন, তাদের অধিকাংশ ওনাকে পাশ কাটিয়ে চলে যেত। যদিও ওনার নিজেরও অবদান ছিল সিভিলের পেছনে। ওই যে…

ওই যে আমি অহংকারে মাটিতে পা ফেলতাম না। আমি, আমি তো তোমাকেও বাবা কত আজেবাজে কথা বলেছিলাম সেই সময়। আমি আমার ছেলে আর মেয়েটাকেও বকাবকি করতাম তোমার সাথে খেলার জন্য। কারণ তুমি তো একটা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছিলে। শুধু পড়াশোনায় খুব ভাল বলে স্কলারশিপ পেয়ে ওইরকম একটা দামি স্কুলে পড়ার সুযোগ পেয়েছিলে। বলে বলতে মধুসূদন সেন এসে বসেন আমার পাশে।

তারপরে ওই দশ বছরে আমি রোজ একটু একটু করে হারাতে থাকি আত্মবিশ্বাস, সাহস, এমনকি নিজের ওপর থেকে বিশ্বাসটুকুও। আর নিজের ওপর থেকে বিশ্বাস চলে গেলে বেঁচে থাকার কোনও মানে হয় না অনিরুদ্ধ।

সেই সময় একদিন এমন একটা ঘটনা ঘটল যা আমার মধ্যে পরিবর্তন নিয়ে এল। সেদিন সকালবেলা চা আর বিস্কুটের জন্য দোকানে দাঁড়িয়ে ছিলাম। দোকানদার বলল, সেন মামা, এবার তো টাকাটা দাও। বাকিতে আর হবে না। একসময় তুমি কী ছিলে সে জেনে আমার কী হবে? পকেটে টাকা নেই, সে এসেছে চা খেতে। যত্তসব। সব ভিখিরিদের দল আমার দোকানেই ভিড় করে। আমিও তো বলতেই পারি আমিও জমিদার বংশের ছেলে। আমার ঠাকুদ্দার ওপারে জমিদারি ছিল। বুঝলে? ভাগ, ভাগ এখান থেকে। আগের সাড়ে সাতশো টাকা শোধ দাও, তারপরে চা খাবে। কাল যদি আবার এসে চায়ের জন্য ধানাই পানাই করো না, তাহলে মেরে বৃন্দাবন পাঠিয়ে দেব।

সেই মুহূর্তে আমার ভাঙা হৃদয়ের ওপর যেন কেউ একটা ভীষণ জোরে লাথি মারল। কিন্তু সেদিন আর আমার চোখে জল আসেনি। বরং একটা কণ্ঠস্বর মাথার মধ্যে থেকে বলে ওঠে, তুই কি এত সহজে হেরে যাবি সেন মামা?

আমি বাড়িতে ফিরে আসি। খালি পেটে। দুপুরে বেরিয়ে সামনের বড় রাস্তার ওপরে দাঁড়িয়েছিলাম কিছুক্ষণ। যদি কেউ ভাত বা শুকনো রুটি তুলে দেয় আমার হাতে। কিন্তু সবাই দৌড়চ্ছিল। আমার দিকে কেউ ফিরেও তাকায় নি সেদিন। মনে পড়ল, আমিও তো ওরকমই ছিলাম!

সন্ধেতে আমি একটা বড় ডিসিশন নিলাম। আমি ঠিক করলাম আমি হেরে যাব না। আমি আর কারোর সাহায্যের আশায় থাকবো না। ছেলে মেয়ে ওদের আমরা জন্ম দিই। নিজেদের বংশ বাড়ানোর জন্য। নিজেদের আনন্দের মুহূর্তে ওরা আমাদের জীবনে চলে আসে। কিন্তু ওরা যে আমাদের দেখবে, আমাদের বুড়ো বয়সে, সেটাও চাওয়াটা অন্যায়।

বুঝলে?

তাই আমি আপনাদের সবাইকে বলছি, শেষ বয়সে সবার কাছে করুণা চাইবেন না। সাহায্যের জন্য অপেক্ষা করবেন না। নিজেদের হাত পা আছে, সেটা কাজে লাগিয়ে কিছু করুন। সে যত ছোট কাজই হোক না কেন! কথাগুলো বলে, মধুসূদন সেন নিজের চোখ মুছলেন। তারপরে আবার বলতে শুরু করলেন, সেদিন ঘরে ফিরে এসে পাগলের মত পুরনো জিনিসপত্র ঘাঁটছিলাম। অনুরাধা একটা ছোট সিন্দুক রেখে গিয়েছিল। বলেছিল, এটা কখনও হাত ছাড়া কোরো না। খুব দরকার না হলে এটা কখনও খুলবে না। আমি সেটা ওইদিন ভেঙে ফেললাম। ভেতরে ছিল দুটো সোনার বালা আর বেশ কিছু পাঁচশো টাকা – গিঁট দেওয়া কাপড়ে বাঁধা।

আমি বিক্রি করে দিলাম বালাগুলো। হাতে এল হাজার চল্লিশেক টাকা। এই টাকা দিয়েই কিনে ফেললাম একটা ছোট্ট ঠেলাগাড়ি, একটা বড় চায়ের কেটলি, কিছু কাপ, আর চা-পাতা, দুধ, চিনি। সেই ঠেলাগাড়ি নিয়ে দাঁড়ালাম মোড়ের ধারে, এক পুরোনো গলির মুখে।

আমাকে দেখে লোকজন হাসল, ফিসফিস করে নিজেদের মধ্যে কানাকানি শুরু করল, কনট্রাক্টর বাবু, এখন চা বিক্রি করছে।

আমি হেসে ওদেরকে শুনিয়ে বলেছিলাম, হ্যাঁ, এবার আমি আসল কাজ করছি। আগেরটা ছিল খোলস!

আমি চা বানাতাম মন দিয়ে। ধীরে ধীরে দোকানের খ্যাতি বাড়তে থাকল। তবে সেটা অন্য একটা কারণে। আমি প্রতিদিন একটি করে জীবন নিয়ে কথা বলতাম। বেশিরভাগ গল্প নিজের জীবন থেকে নেওয়া ছিল। আমি ভুলেই গিয়েছিলাম যে আমার মধ্যেও এত গল্প লুকিয়ে আছে। কখনও আমি বলতাম সাহসের গল্প, কখনও বলতাম নিজের ভুলের কথা, কখনও কথা বলতাম সমাজের বাস্তবতা নিয়ে।

কেউ চাকরি না পেয়ে মন খারাপ করে চা খেতে আসত, কাউকে বউয়ের সঙ্গে ঝগড়া করে পাওয়া যেত আমার দোকানে, কেউ বা আবার জীবনের পথে দৌড়ে ক্লান্ত হয়ে এসে বসত আমার দোকানে, ছাউনির নিচে, একটু শান্তির খোঁজে।

আমি সবার কথা মন দিয়ে শুনতাম, আর সবাইকে বলতাম, এখনও বলি, ভুল করলে ক্ষমা চাও, আবার উঠে দাঁড়াও। আর যদি কিছুই না থাকে? যদি জীবনের উদ্দেশ্য হারিয়ে ফেলছ, ক্লান্ত হয়ে পড়েছ, তাহলে চা দিয়ে আবার সবকিছু নতুন করে শুরু করে দাও। এখন থেকেই!

আর তারপরে, একজন কলেজ পড়ুয়া আমার পাশে এসে বলল, তারপরে, এই ছোট ছোট কথাগুলো ধীরে ধীরে ছড়িয়ে পড়ে। আমার বন্ধু বান্ধবেরা এখানে আসতে শুরু করে। আশেপাশের কলেজের ছেলেমেয়েরাও আসতে থাকে। কেউ মোবাইলে ভিডিও করত, কেউ সেন মামাকে নিয়ে পোস্ট দিত – বাষট্টি বছরে এভাবেও আবার শুরু করা যায়।

এই তো সেদিন এক সাংবাদিক এসেছিলেন সেন মামার দোকানে। জিজ্ঞেস করেছিলেন, আপনার সব ছিল, এখন শুধুই এক কাপ চা। আপনার খারাপ লাগে না?

সেন মামা সেদিন বলেছিলেন, চা বানাতে গিয়ে বুঝেছি – জীবনেও স্ট্রং হতে গেলে কড়াভাবে ফুটতে হয়। আমি ফুটেছি, পুড়েছি, উথলে উঠেছি, কিন্তু তবুও স্বাদটা দিতে শিখেছি। এখন আমার আলাদা করে আর হয়ত কিছু নেই, কিন্তু অনেক কিছু আমি নিজেই। আমার জেদ, সাহস, ঘাম, এইসব কিছু আমার নিজের। এই দোকানটা আমার সম্মান। এই বয়সে সম্মান কিনে পাওয়া যায় না, বানিয়ে নিতে হয়।

আমি সব কথা শুনে জিজ্ঞেস করলাম, আংকেল, একটা কথা জিজ্ঞেস করব? আপনার পুরনো জীবন নিয়ে আক্ষেপ হয় না? রোহন বা অনন্যার জন্য কিছু…

আমাকে থামিয়ে মধুসূদন আংকেল বলে উঠলেন, ওই সময় আমি টাকা গুনতাম, এখন মানুষ গুনি। আগে আমার কাছে অনেক কিছু ছিল, এখন আমি নিজেই সব কিছু। আক্ষেপটা তো তখন করতাম, যখন জীবনের কাছে হেরে গেছিলাম। এখন তো আমি খেলায় ফিরেছি! আর খেলা অনেকটা বাকি। আর বয়স? বয়স একটা সংখ্যা মাত্র। শুধু নিজের ওপরে বিশ্বাস রাখতে হয়। তারপরেই বেরিয়ে পড়ো সাহস করে। সাহস হল সেই চা-পাতার মতো – তুমি যত জ্বালাবে, সে তত গাঢ় হয়ে উঠবে।

আমি ওঠার সময় আবার ঘুরে তাকালাম সেই মানুষটার দিকে। কিন্তু এখন অন্য এক আলোতে আলোকিত ওনার মুখ। সেই সময়, সেই আমার ছোটবেলায়, ওনার মুখে সবসময় থাকত একটা রাগ, বিরক্তি, অবহেলা আর অন্যকে ছোট করার প্রবণতা। আর আজ? আজ সেই মুখটা উজ্জ্বল। কলেজপড়ুয়া ছেলেগুলোর কাছেই শুনলাম যে এখন মধুসূদন সেন সন্ধেতে বস্তির ছেলেমেয়েগুলোকে অঙ্ক করতে শেখান।

আসলে শেষ বয়স মানে শেষ নয়, ওটাই জীবনের আসল শুরু।

পরে পড়বো
৬৫
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন