আগন্তুক দিনের হাতে হাত রেখে রোদেলা দুপুর
পিঁপীলিকা পায়ে অনায়াসে ঢুকে পড়েছে—
অন্য অরণ্যের নীলাভ অন্ধকারে
যেখানে পুষ্পের ঠোঁটে কেবলই ফোটে সুবাসিত রহস্যহাসি!
এ অরণ্যে এখন শেকড় সন্ধানী বিবর্ণ বিকেলের মৌনতা
এখানে নিখাদ নিস্তব্ধতার কার্ণিশ ছুঁয়ে নীরবে নাম নিঃসঙ্গ হেমন্তসন্ধ্যা
এখানেই মুমূর্ষু আশাবৃক্ষে আজও জাড়িয়ে আছি
লতাগুল্ম ছায়া মায়ার মতন।
আমার বুকের গভীরে কষ্টের কোলাহল পিঠে রোদের ক্ষত
আমার আকাশের দিগন্ত বিস্তৃত ভাঁজে ভাঁজে বিষণমেঘ
গাঢ় মেঘের মলিন আস্তরণে কে যেনো কবে
জলের আখরে লিখে রেখেছে সেই মুছে যাওয়া নাম
এবং নিঃসঙ্গ এক জলপিপির ক্রন্দনসিক্ত ব্যর্থ—ইতিহাস
এ কোন পৌরাণিক পাঠে মুগ্ধ নিশ্চুপ নির্বাক আমি?
স্বপ্ননদীর অববাহিকায় আমি কী কেবলই ভাসমান শেওলা
নাকি নোনাজল সমুদ্র সৈকতে নগণ্য নুড়িপাথরের স্তূপ?
দুরস্ত ঢেউয়ে ভীষণ অস্থির আবার কখনো স্থির।
আমার মেথা মননের অতলান্তিক গভীরতা খুঁড়ে খুঁড়ে
কেউ কেউ লোলুপ দৃষ্টিতে খুঁজে ফেরে মোহময় নিবাসের নির্মাণশৈলী
আমার কোনো বন্ধু নেই, আছে মুখোশধারী শত্রুস্বজন
কোনো স্থায়ী নিবাস নেই আমার আছে জীবন্মৃত নীল নির্জনতা।
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন