ভয়
নির্মলেন্দু গুণ
তোমারো ছিল ভয়, রাজাকার, পাক-সেনা,
কিংবা ভ্রষ্ট-চরিত্র মানুষের।
বিড়ালের নতুন ছানার মতো সোনালি যৌবন
তুমি মুহূর্তেই ফেলতে লুকিয়ে,
যদি ওরা আসে, এই ভয়ে ডেকে নিতে কাছে।
সন্ত্রস্ত তোমার মুখ হঠাৎ আমার দিকে
ফিরে গিয়েছিল, ভয়ে।
তোমার দু’হাতে, চুলে, নখে,
কচু-রঙ শাড়ির আঁচলে সর্বত্র ভয়ের চিহ্ন,
ভীত শিহরন, যদি ওরা আসে।
মানুষের প্রিয়তম বয়সের কাছে এসে
তোমার বয়স যেন থেমে গিয়েছিল ভয়ে,
তখন আমিই শুধু তোমার সাহস হয়ে
তোমার চতুর্দিকে কিছুদিন….
আহা, স্বাধীনতা, যুদ্ধ, ভ্ৰষ্টমৃত্যুভয়,
কী সুন্দর থোকা থোকা প্রিয় অভিজ্ঞান।
যতদিন যুদ্ধ ছিল, ততদিন তুমি ছিলে
আমার প্রেমিকা।
আজ তুমি মুক্ত, রুদ্র, অসীম সাহসী।
হাজার হাজার মাইল।
অনায়াসে উড়ে যেতে পারো, ভয় নেই।
শুধু ভয়, যুদ্ধ নয়, ওরা নয়,
আমি যদি আসি।
কিংবা ভ্রষ্ট-চরিত্র মানুষের।
বিড়ালের নতুন ছানার মতো সোনালি যৌবন
তুমি মুহূর্তেই ফেলতে লুকিয়ে,
যদি ওরা আসে, এই ভয়ে ডেকে নিতে কাছে।
সন্ত্রস্ত তোমার মুখ হঠাৎ আমার দিকে
ফিরে গিয়েছিল, ভয়ে।
তোমার দু’হাতে, চুলে, নখে,
কচু-রঙ শাড়ির আঁচলে সর্বত্র ভয়ের চিহ্ন,
ভীত শিহরন, যদি ওরা আসে।
মানুষের প্রিয়তম বয়সের কাছে এসে
তোমার বয়স যেন থেমে গিয়েছিল ভয়ে,
তখন আমিই শুধু তোমার সাহস হয়ে
তোমার চতুর্দিকে কিছুদিন….
আহা, স্বাধীনতা, যুদ্ধ, ভ্ৰষ্টমৃত্যুভয়,
কী সুন্দর থোকা থোকা প্রিয় অভিজ্ঞান।
যতদিন যুদ্ধ ছিল, ততদিন তুমি ছিলে
আমার প্রেমিকা।
আজ তুমি মুক্ত, রুদ্র, অসীম সাহসী।
হাজার হাজার মাইল।
অনায়াসে উড়ে যেতে পারো, ভয় নেই।
শুধু ভয়, যুদ্ধ নয়, ওরা নয়,
আমি যদি আসি।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ২৭২ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন