ফেরা
নির্মলেন্দু গুণ
আমি জানি আমার বাড়ির মধ্যে সমস্ত উঠোন জুড়ে
ঘাস উঠেছে এখন, শোঁ শোঁ হাওয়ার রাজ্যে
ফেলে আসা শূন্য ঘরে যাকে আমি বসিয়ে দিয়ে
এসেছিলাম সে আমার ভালোবাসা, ফেরার বিশ্বাস।
এখন বিশ্বাসের চারদিকে আলো আসছে,
ঘাসের মধ্যে পা ফেলেই আবিষ্কার করতে হবে তাকে।
যে দুঃখ ফেলে এসেছিলাম, সে এখন সুখ হয়ে বড় হচ্ছে
কল্পনার বিশ্বাসের ভ্রূণে। নতুন পুকুর থেকে প্রিয় মাছ
বাড়াবে দু’হাত, কবুতর উড়ে এসে মাথার চুলের মধ্যে
গুঁজে দেবে ঠোঁট, চেনা কাক অচেনা নারীর মতো
কৌতূহল ভরা চোখে দেখবে আমাকে।
যে দুঃখ ফেলে গিয়েছিলাম, তার স্মৃতি,
পথ-মাটি-ঘর, জীবনের শৈশব-কৈশোর ছুঁয়ে
অজস্র প্রহর আবার মুখর হবে, আমি জানি,
আমার বাড়ির মধ্যে নিকানো উঠোন জুড়ে
ঘাস উঠেছে এখন। এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি,
এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম আবার মুখর হবে।
শুনেছি ফেরার ডাক; যে পথে এসেছিলাম,
সে পথেই ফেরা।
পথের শুকনো বুক নারীর চুলের মতো
টেনে টেনে নিয়ে যাবে হাওয়ায় হাওয়ায়।
রেল লাইন তৈরি হচ্ছে দ্রুত, বিস্ফোরণে
উড়ে-যাওয়া পুল আবার নদীর পাড় বেঁধে দিলে
বেনাপোল-বনগাঁ হয়ে হুশ হুশ ইঞ্জিন ছুটবে দ্রুত।
নদীর জলের মধ্যে, দুরন্ত পদ্মায় আমাদের
উল্টো ছায়া নাম ধরে ডেকে নেবে কাছে।
যে পথে এসেছিলাম, সে পথেই ফেরা।
ঘাস উঠেছে এখন, শোঁ শোঁ হাওয়ার রাজ্যে
ফেলে আসা শূন্য ঘরে যাকে আমি বসিয়ে দিয়ে
এসেছিলাম সে আমার ভালোবাসা, ফেরার বিশ্বাস।
এখন বিশ্বাসের চারদিকে আলো আসছে,
ঘাসের মধ্যে পা ফেলেই আবিষ্কার করতে হবে তাকে।
যে দুঃখ ফেলে এসেছিলাম, সে এখন সুখ হয়ে বড় হচ্ছে
কল্পনার বিশ্বাসের ভ্রূণে। নতুন পুকুর থেকে প্রিয় মাছ
বাড়াবে দু’হাত, কবুতর উড়ে এসে মাথার চুলের মধ্যে
গুঁজে দেবে ঠোঁট, চেনা কাক অচেনা নারীর মতো
কৌতূহল ভরা চোখে দেখবে আমাকে।
যে দুঃখ ফেলে গিয়েছিলাম, তার স্মৃতি,
পথ-মাটি-ঘর, জীবনের শৈশব-কৈশোর ছুঁয়ে
অজস্র প্রহর আবার মুখর হবে, আমি জানি,
আমার বাড়ির মধ্যে নিকানো উঠোন জুড়ে
ঘাস উঠেছে এখন। এ বাড়ি থেকে ও বাড়ি,
এ গ্রাম থেকে ও গ্রাম আবার মুখর হবে।
শুনেছি ফেরার ডাক; যে পথে এসেছিলাম,
সে পথেই ফেরা।
পথের শুকনো বুক নারীর চুলের মতো
টেনে টেনে নিয়ে যাবে হাওয়ায় হাওয়ায়।
রেল লাইন তৈরি হচ্ছে দ্রুত, বিস্ফোরণে
উড়ে-যাওয়া পুল আবার নদীর পাড় বেঁধে দিলে
বেনাপোল-বনগাঁ হয়ে হুশ হুশ ইঞ্জিন ছুটবে দ্রুত।
নদীর জলের মধ্যে, দুরন্ত পদ্মায় আমাদের
উল্টো ছায়া নাম ধরে ডেকে নেবে কাছে।
যে পথে এসেছিলাম, সে পথেই ফেরা।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ২৭৩ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন