সল্টলেকের ইন্দিরা
নির্মলেন্দু গুণ
শত্রুর তাড়া খেয়ে আমরা যাবো না আর
সীমান্তের দেয়াল ডিঙিয়ে কোনোদিন।
ছিন্নমূল, পাখির মতন নিঃস্ব
মানুষের ঝাঁক, সল্টলেকে, কল্যাণীতে,
মেঘালয়ে, ত্রিপুরার প্রত্যন্ত প্রদেশে
আর কোনোদিন উন্মুখর তোমার প্রতীক্ষায়
আমাদের সময় যাবে না অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
চোখের সমুখে।
সমস্যাসংকুল এই শতাব্দীর
এক কোটি মানুষের ভিড়ে
ফিরে ফিরে তুমিও যাবে না আর
কোনোদিন ক্ষমাপ্রার্থী মানবতা হতে।
নিজ হাতে আকাশের তারার আলোকে
বেঁধে দিয়ে ঘর, ভালোবাসা, চাল-ডাল,
উদ্যম প্রহর নিয়ে তুমি আর ফিরবে না
মুক্তিবাহিনীর শিবিরে শিবিরে।
এখন শূন্য সব, তিন শ’ দিনের ঘর,
হা-করা দুয়ার, মেঘালয়,
সল্টলেক, কল্যাণীর সশস্ত্র-শিবির,
কিংবা আগরতলার খোলা মাঠ।
কে যেন স্বপ্নের মতো চুপি চুপি এসে
শূন্য কপাট দিয়ে ঢেকে রেখে গেছে সবকিছু।
একদিন নিজ হাতে বেঁধে দিয়েছিলে ঘর,
মনোহর ভালোবাসা, স্বাধীনতা দিয়ে।
এখন শান্ত সব, সল্টলেক একাকী ঘুমিয়ে আছে।
যেন পরিত্যক্ত দেশপ্রেমিকের খালি বাড়ি;
রাজাকার, আল-বদরের ভয়ে ভীত,
মৃত, ম্রিয়মাণ।
তোমার নোয়ানো মাথা সল্টলেকে,
শরণার্থীর ঘরে ঘরে বৃষ্টির অন্ধকারে
অক্ষয় আগুন হয়ে একদিন জ্বলে উঠেছিল।
আজ সে উদ্ধত মাথা বরাভয়ে
সবচেয়ে বড় সেই আকাশের
দর্পকেই স্পর্শ করেছে।
সল্টলেকের ভাঙা-ঘর,
মাদুর, চাঁদের কথা, ভালোবাসা, স্মৃতি;
এখন বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে চতুর্দিকে।
সীমান্তের চিহ্ন ভেঙে ঢুকে গেছে পৃথিবীর
অসীম হাওয়ায়…।
সীমান্তের দেয়াল ডিঙিয়ে কোনোদিন।
ছিন্নমূল, পাখির মতন নিঃস্ব
মানুষের ঝাঁক, সল্টলেকে, কল্যাণীতে,
মেঘালয়ে, ত্রিপুরার প্রত্যন্ত প্রদেশে
আর কোনোদিন উন্মুখর তোমার প্রতীক্ষায়
আমাদের সময় যাবে না অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ
চোখের সমুখে।
সমস্যাসংকুল এই শতাব্দীর
এক কোটি মানুষের ভিড়ে
ফিরে ফিরে তুমিও যাবে না আর
কোনোদিন ক্ষমাপ্রার্থী মানবতা হতে।
নিজ হাতে আকাশের তারার আলোকে
বেঁধে দিয়ে ঘর, ভালোবাসা, চাল-ডাল,
উদ্যম প্রহর নিয়ে তুমি আর ফিরবে না
মুক্তিবাহিনীর শিবিরে শিবিরে।
এখন শূন্য সব, তিন শ’ দিনের ঘর,
হা-করা দুয়ার, মেঘালয়,
সল্টলেক, কল্যাণীর সশস্ত্র-শিবির,
কিংবা আগরতলার খোলা মাঠ।
কে যেন স্বপ্নের মতো চুপি চুপি এসে
শূন্য কপাট দিয়ে ঢেকে রেখে গেছে সবকিছু।
একদিন নিজ হাতে বেঁধে দিয়েছিলে ঘর,
মনোহর ভালোবাসা, স্বাধীনতা দিয়ে।
এখন শান্ত সব, সল্টলেক একাকী ঘুমিয়ে আছে।
যেন পরিত্যক্ত দেশপ্রেমিকের খালি বাড়ি;
রাজাকার, আল-বদরের ভয়ে ভীত,
মৃত, ম্রিয়মাণ।
তোমার নোয়ানো মাথা সল্টলেকে,
শরণার্থীর ঘরে ঘরে বৃষ্টির অন্ধকারে
অক্ষয় আগুন হয়ে একদিন জ্বলে উঠেছিল।
আজ সে উদ্ধত মাথা বরাভয়ে
সবচেয়ে বড় সেই আকাশের
দর্পকেই স্পর্শ করেছে।
সল্টলেকের ভাঙা-ঘর,
মাদুর, চাঁদের কথা, ভালোবাসা, স্মৃতি;
এখন বিস্তৃত হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে চতুর্দিকে।
সীমান্তের চিহ্ন ভেঙে ঢুকে গেছে পৃথিবীর
অসীম হাওয়ায়…।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৭১ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন