ওহে, শোনো! দরজাটা খোলাই আছে, হুড়কো লাগানো হয়নি কোনোদিন
এই জগৎটা আসলে এক অনাথ শিশুর ফেলে যাওয়া ভাঙা তুবড়ি
কিংবা ধরো, দুমড়ানো মুচড়ানো এক টিনের গাড়ি, যার চাকা ঘোরে না
ভেতরে আমার হৃদয়টা এক বুনো শুয়োর, ঘোঁত ঘোঁত শব্দে খোঁজে শিকড়
তাকে খাঁচায় পুরবে? সাধ্য কার! উপোস দিলেও সে জ্যোৎস্না চিবিয়ে বেঁচে থাকে
আসো, ভেতরে আসো! জুতো খোলার দরকার নেই, রক্ত মাখলে ক্ষতি কী
ওই যে দেখছ নর্দমায় ভেসে যাচ্ছে ফোলা ফাঁপা সব চেনা শরীর
ওদের দিকে তাকালে আজ আর কান্না পায় না, বরং একটু হাসিই পায়
সুখ আর দুঃখ—ওরা তো যমজ ভাই, একই থালায় বসে ভাত খায়
ঠিক যেমন টসটসে পাকা আতা কামড়ালে কষ আর মিষ্টি একসঙ্গে জিভে লাগে
কোথাও কি একটা শান্তির পুকুর আছে? যেখানে জল মানেই আর হাহাকার নয়
যেখানে স্নান করলে চামড়ার সব দাগ মুছে গিয়ে আয়নার মতো ঝকঝক করবে
আমরা সবাই তো আসলে একটু সেলাই হতে চাই, একটু মলম চাই ক্ষতে
হাত বাড়াও, ওই পচা গন্ধের নিচেই লুকিয়ে আছে এক মুঠো শাঁসালো রোদ
এসো, এই ধ্বংসস্তূপের ওপর দাঁড়িয়েই আজ আমরা একটা পঙ্ক্তি লিখি

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন