প্রতি মা’র রূপ পাষাণে গাঁথি’ পূজি মা’র তেজ, না রে!
বিগ্রহে তাই সত্যের রেশ, মাতৃ-রূপ সেজেছে পাথারে।
মাটির প্রদীপ জ্বেলেছিস্, তাই জোয়ার-জলের বাঁধ টলমল,
প্রতি মা’র রূপে পূজেছি যে মা’রে—নয়ন-জলে সেতো কেবল।

মাতৃ-পূজাটা ছলনা নয় রে, সেতো জন্ম-তীর্থের তীর্থ-যাত্রা,
অন্ধ তোরা, দেখিস্ নে সেই কষ্টি-পাথরের কঠিন বার্তা!
বছর বছর আহ্বান-বীজে সত্য লুকায়, দেখিস্ রে শুধু রূপ,
কোন্ অনাদির মা’টিরে সাজালি? —মা’র কোলে নেইকো মা’র চুপ!

সাধনা কি শুধু তলোয়ারে বাজে? অক্ষর-ব্রহ্মে বাজে না বুঝি?
পূজাটা যখন ভক্তির জোরে, তখন আলোর তরণি খোঁজে না পুঁজি।
মা’কে জিনিবার সাধক যে লড়ে—সে তো বিশ্ব-চরাচর যুঝে,
মাটির মাঝে যে চির-মা আছে—অন্ধ তোরা, সে কথা কি বুঝে?
ভীরুতার ভার কাঁধে নিয়ে ঘোরে, তাই কি জননী পাষাণী হয়?
মুক্তি-পথের যাত্রী কি তবে প্রতি-মা’র রূপ দেখে পায় ভয়?

পরে পড়বো
১০৫
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন