জানালার বাইরে হঠাৎ এক মুঠো নীল ঢুকে এল।
ভাঙা কাচের গায়ে লেপ্টে রইল,
ঠিক তোমার আলতো স্পর্শের মতো।
তারপর সে নীল ধুলো হয়ে মিশে গেল
আমার পুরোনো রুমালের ভাঁজে।
প্রতিটি সুতোয় জন্ম নিচ্ছিল এক অসম্ভব উষ্ণতার রেখা,
যেন এক গোপন মানচিত্র আঁকা,
যার পথ ফুরোয় না শুধু শরীরের দিকে।
আর প্রতিটি রেখার বাঁকে,
তোমার নীরব শ্বাস, আমার লণ্ঠনের শিখা।
নিলয়ের প্রতিটি কোণে,
সেই নীল জোছনার ডাক,
এক অলিখিত চুক্তি।
আমার শিরায় শিরায় তার জলজ লণ্ঠন দোলে,
আর তোমার ঠোঁট তখন মেঘ হয়ে নামছে,
আমার তৃষ্ণার্ত মাঠে।
এত সরল অঙ্ক ছিল জেনেও,
বুঝে উঠতে লাগল যুগ যুগ।
তোমার চুলের ছায়া দেখেছিল একাকী টেবিল,
যখন শূন্য কাচের গ্লাসে ভিজেছিল
পৃথিবীর সব কৌতূহল।
এখন নীল জোছনা নয়,
আমি নিজেই জোছনা হয়ে যাই।
তোমার দিকে নিরন্তর ঢেউ হয়ে ধাবিত,
এক উন্মাদ তরঙ্গ।
আর তুমি?
তুমি আস্ত সমুদ্র,
আমার প্রতিটি ভাঙা তীরে এসে আছড়ে পড়ো।

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন