জীবন এক খননযাত্রা, শিলার নিচে শিলার স্তর,
প্রতিটি স্তরে লুকিয়ে থাকে, একেকটি ব্যথার ঘর।
পাথর ভাঙে, ধুলো উড়ে, চোখে আসে ধোঁয়ার রেখা,
তবু সেই ধোঁয়ায়ই লেখা থাকে, বেঁচে থাকার এক অপেক্ষা।
শৈশবের নিচে কিশোর বয়স, তার নিচে প্রেমের ছায়া,
প্রেমের নিচে প্রতারণা, তার নিচে নীরব মায়া।
মায়ার নিচে এক শিলাখণ্ড, নামহীন এক অভিজ্ঞতা,
যা না-জেনে বাঁচা যায় না, যা না-ভেঙে হয় না কথা।
একদিন দেখি, নদীর ধারে, পাথর গলে জল হয়ে যায়,
জল আবার জমে পাথর হয়, জীবন এমনই চক্র হায়।
পাথরের বুকেও থাকে জল, চোখের নিচে থাকে স্বপ্ন,
স্বপ্নের নিচে থাকে শূন্য, শূন্যের নিচে থাকে জ্বালা অচ্ছিন্ন।
তাই তো বলি, শিলার পাঠশালা, পড়তে হয় বাঁচতে গিয়ে,
প্রতিটি পাঠে রক্ত ঝরে, প্রতিটি পাঠে চোখ ভিজিয়ে।
জীবন যখন সত্যিকারে, নিজেকে ভাঙে, নিজে গড়ে,
তখনই বোঝা যায়, কেন পাথর, জল হয়ে হৃদয়ে পড়ে।

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন