প্রসূন গোস্বামী

কবিতা - উল্টো ঘড়ির গান

প্রসূন গোস্বামী

পুরোনো জুতোর শব্দে ঘুম ভেঙে যায় মাঝরাতে
জানলা খুললে দেখি একরাশ পাথর শানানো হাতে
সেই যে কবে শুরু হয়েছিল ভাঙা দেয়ালের খেলা
আজও ফুরলো না সেই বিষাদ মাখানো মেলা।

এই তো সেদিন, কিংবা হয়তো বহু যুগ আগে
একটি আঙুল তুললেই এখানে আগুন জেগে ওঠে রাগে
ছাপান্নটা ঘর, আর তাতে পঞ্চান্নটা তালা
খুললেই দেখা যায় শুধু রক্তে ভেজা মালা।
সাদা কাগজের বুকে একটা কালো কালির ছিটে
অমনি মানুষগুলো মেতে ওঠে নরবলির পিঠে।
যুক্তির চশমাটা কবেই ধুলোয় গেছে হারিয়ে
এখন শুধু অভিযোগের চাবুক চলে হাত বাড়িয়ে।

সময় তো ঘোরে, কিন্তু এখানে ঘড়িটা উল্টো চলে
ন্যায়বিচার তো এখন অন্ধ কুয়োর তলায় ফোঁস করে বলে
যাকে খুশি ধরো, যার নামে খুশি সাজাও মিথ্যে সাজ
অমর হয়ে থাক এই নোংরা নাটকের কারুকাজ।
মানুষের চেয়ে বড় হয়ে উঠল পাথরের সেই ভাষা
হায়রে আমার ছাপান্ন হাজার বর্গমাইলের ভালোবাসা!
নাটকটা শেষ করো এবার, যবনিকা নামুক স্থির
নইলে কান পাতলেই শোনা যায় সেই মৃত আত্মার ভিড়।

পরে পড়বো
২৫
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন