কৃষ্ণাবতী
সাফায়াত প্রতীক
গায়ের রঙে দেখতে মেয়েটা কালো,
চুলগুলো তার একটু অগোছালো।
কাজল ছাড়াই কাজল কালো আঁখি;
এই ছবিটা জনম জনম বুক পকেটে রাখি।
ছবিখানা যত্ন করে দেখিয়েছিলেম মাকে,
মা কিছুক্ষণ চুপটি থেকে বলল আমায় ডেকে,
“ঘরের লক্ষ্মী করবো যাকে তাকে?
কত্ত রূপসী থাকতে এ তুই ভালোবাসিস কাকে?”
প্রেমটা আমার ভালোই রটেছিল।
তাইতো সেদিন বন্ধু বলে,
“তোর হবু বউ দেখতে নাকি কালো?”
লজ্জা পেয়ে আমি লাজুক মুখে
তার ছবিটা দেখি হাজার দুখে।
দেখা শেষে তারে আবার যত্নে রাখি বুকে!
সেদিন রাতে প্রথম বেতন পেয়ে
কেনাকাটায় গেলাম তাকে নিয়ে।
কোন রঙই মানায় না তারে ভালো;
ধুচ্ছাই... ভালোবাসাই ভুল হয়েছে কালো!
রাগ করে তাই বলেছি সেই রাতে,
“তোমায় আমি পারবো না গো নিতে।”
বুক পকেটের যত্নে রাখা ছবি
টুকরো টুকরো করে ফেললাম সবই।
তারপর বেশ অনেক বছর পরে
আমার চোখের হারিয়ে গেলো আলো;
নিঃস্ব আমি বুঝলাম অবশেষে,
“সব রূপেরই উৎস হল কালো!”
চুলগুলো তার একটু অগোছালো।
কাজল ছাড়াই কাজল কালো আঁখি;
এই ছবিটা জনম জনম বুক পকেটে রাখি।
ছবিখানা যত্ন করে দেখিয়েছিলেম মাকে,
মা কিছুক্ষণ চুপটি থেকে বলল আমায় ডেকে,
“ঘরের লক্ষ্মী করবো যাকে তাকে?
কত্ত রূপসী থাকতে এ তুই ভালোবাসিস কাকে?”
প্রেমটা আমার ভালোই রটেছিল।
তাইতো সেদিন বন্ধু বলে,
“তোর হবু বউ দেখতে নাকি কালো?”
লজ্জা পেয়ে আমি লাজুক মুখে
তার ছবিটা দেখি হাজার দুখে।
দেখা শেষে তারে আবার যত্নে রাখি বুকে!
সেদিন রাতে প্রথম বেতন পেয়ে
কেনাকাটায় গেলাম তাকে নিয়ে।
কোন রঙই মানায় না তারে ভালো;
ধুচ্ছাই... ভালোবাসাই ভুল হয়েছে কালো!
রাগ করে তাই বলেছি সেই রাতে,
“তোমায় আমি পারবো না গো নিতে।”
বুক পকেটের যত্নে রাখা ছবি
টুকরো টুকরো করে ফেললাম সবই।
তারপর বেশ অনেক বছর পরে
আমার চোখের হারিয়ে গেলো আলো;
নিঃস্ব আমি বুঝলাম অবশেষে,
“সব রূপেরই উৎস হল কালো!”
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৭৫ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন