সমরেশ মজুমদার

গল্প - মন ধোয়া যায় না

লেখক: সমরেশ মজুমদার | গ্রন্থ - মন ধোয়া যায় না
প্রকাশ - রবিবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৪ ধরণ: ভালোবাসা

মুখে পান গুঁজে চোখ বন্ধ করে বসে রইল কিছুক্ষণ। তার মুখের দিকে তাকিয়ে হাঁ করে বসে আছে দুই বালিকা। একজন ধৈর্য না রাখতে পেরে বলল, ‘তা হলে কী করব?’

পান চিবিয়ে রস গিলে কাননবালা বলল, ‘অ্যাই, তোর বয়স কত হল?’

‘দশ।’

দ্বিতীয়জন, যার নাম সরস্বতী, বলল, ‘আমি সাড়ে নয়।’

‘হুম। আর বেশি দিন নেই রে। তোদের জন্যে দুঃখ হচ্ছে রে!’

‘দুঃখ? কেন?’ প্রথমজন জিজ্ঞাসা করল।

‘তোরা কিছু করিসনি।’ আঙুল তুলে আকাশ দেখাল বুড়ি, ‘উনি করেছেন। এই পৃথিবীতে মেয়েমানুষ করে পাঠিয়েছেন, যাক গে। কী করবি বল।’

‘তোমার কথা কিছুই বুঝতে পারছি না।’

‘পারবি, পারবি, সময় এলে ঠিক পারবি। শুধু আমার একটা কথা যদি মনে রাখবি বলে কথা দিস তা হলে বলি!’ কাননবালা পান চিবোতে চিবোতে বলল।

‘মনে রাখব, নিশ্চয়ই মনে রাখব।’ সরস্বতী জোর দিয়ে বলল।

‘তবে শোন।’ আশেপাশে তাকিয়ে নিল বুড়ি, ‘কখনও নিজের মনটাকে এঁটো হতে দিবি না। শরীর এঁটো করতে আসবে পুরুষমানুষরা। পারবে না। ধুয়ে ফেললে শরীর যে এঁটো হয়েছিল তা কারও বাপ বলতে পারবে না। তাই বলি, শরীর কখনও এঁটো হয় না। শরীর হল আকাশের মতো, জল ঝরায়, জলে ভিজে থাকে না। বুঝলি?’

প্রথমজন মাথা নেড়ে না বলল, ‘কী হলে মন হয় তা তো জানি না। অ্যাই সরস্বতী, তুই জানিস?’

মাথা নাড়ল সরস্বতী, ‘না তো। কী করে হয় দিদি?’

‘মনের স্পর্শ লাগলে মন এঁটো হয়। শরীর জল দিয়ে ধুলে এঁটো থাকে না। সাবান ঘষলে তো একদম সাফ! কিন্তু মন যে ধোয়া যায় না ভাই। এক বার এঁটো হয়ে গেলে বড় যন্ত্রণা।’ কাননবালার মুখে দুঃখ জমল।

সরস্বতী জিজ্ঞাসা করল, ‘আচ্ছা, মনকে ধোয়া যায় না? এমনি জলে না হোক সাবান দিয়ে যদি ধুয়ে ফেলি?’

‘দূর পাগলি! তুই চেষ্টা করে আকাশটাকে ধুতে পারবি? বর্ষায় তো অনর্গল জল ঝরে, তাতে কি আকাশ ভিজে চুপসে যায়? মন হল আকাশের মতো। তফাত একটাই, আকাশে সাত দিন ধরে মেঘ জমে থাকলেও তা ভেজাতে পারে না, কিন্তু তেমন তেমন মেঘ এলে মানুষের মন যে ভিজে যায়। তাই বলি, এক বার ভিজলেই মন এঁটো হয়ে যায়। তাই মনটাকে ভিজতে দিবি না। এক বার এঁটো হয়ে গেলে আর রক্ষে নেই।’ কাননবালা বলল।

প্রথম মেয়েটি জিজ্ঞাসা করল, ‘কী করলে মন এঁটো হবে না?’

কাননবালা বলল, ‘তোর যে মন আছে তা একদম ভাববি না। শুধু মনে রাখবি, তোর শরীর আছে। কারও অল্প সুন্দর, কারও বেশি সুন্দর শরীর। কারও আবার একটুও সুন্দর নয়। যার যেমন তার রোজগার তেমন।’

‘তা হলে মনের কথা ভাবব না?’ সরস্বতী জিজ্ঞাসা করল।

‘না। একদম না। সব সময় মনে রাখবি, মেয়েমানুষের মন নেই।’

অন্য মেয়েটি চিবুকে আঙুল দিল, ‘ও মা! এ কী কথা বলছ! একদম ভুল কথা! আমি তো মেয়েমানুষ হতে চলেছি, কিন্তু এর মধ্যেই আমার মন এসে গিয়েছে।’

কাননবালা মাথা ঝাঁকাল, ‘যত বোকা বোকা কথা!’

‘জানো!’ মেয়েটি প্রতিবাদ করল, ‘সে দিন রূপশ্রী সিনেমাহলে বীণামাসি সিনেমা দেখতে নিয়ে গিয়েছিল। দেবদাস। সিনেমাহলে বসে কী কান্না কেঁদেছি! বড় মেয়েরা কাঁদছে, বীণামাসি কাঁদছে, আর আমিও কেঁদেছি। আমার যদি একজন দেবদা থাকত তা হলে আমি তাকে ছেড়ে থাকতাম না। জানো, পুরো দু’দিন ধরে মন হু হু করছিল। আর তুমি বলছ, মেয়েমানুষের মন নেই! না, না, তুমি জানো না।’

কাননবালা হেসে যেন গড়িয়ে পড়ে। তারপর বলল, ‘তুই কী বোকা রে! একটা বুদ্বুদকে নদীর ঢেউ ভাবছিস? যাক গে, এ সব কথা কাউকে বলিস না।’

‘কেন?’

‘জানলেই তোকে পাউডার মাখিয়ে, সাজিয়েগুজিয়ে বারান্দায় দাঁড় করিয়ে দেবে। যা তোরা, আমাকে এখন একটু একা থাকতে দে।’ কাননবালা বলল।

সরস্বতীর যেতে ইচ্ছে করছিল না। বেঁকেচুরে বলল, ‘কেন? কী করবে এখন?’

‘একা চুপচাপ বসে থাকব। সারা জীবন তো শুধু বকবক করে গেলাম।’

* * *

মাস পাঁচেকের মাথায় ওরা তাকে দেখতে এল। দুটো আধবুড়ি আর একটা আধবুড়ো। আধবুড়োটা বলল, ‘এখনও গায়ে গতরে জমেনি!’

দুই আধবুড়ির একজন বলল, ‘একদম কথা কোরো না। মেয়েমানুষের কিছু বোঝো তুমি? শুধু মাটি আর সারে হয়? সঙ্গে জল ঢালতে হয়। ঠিক আছে, যাও ভাই, আমরা তোমার মাসির সঙ্গে কথা বলি।’

ওরা যখন ফিরে যাচ্ছিল তখন আবার ডাক পড়ল। সরস্বতী কাছে যেতে দুই আধবুড়ির একজন বলল, ‘এই টাকাটা রাখো। সামনের পূর্ণিমায় ওই বুড়ো এসে তোমাকে নিয়ে যাবে। খুব যত্নে থাকবে আমাদের ওখানে। আচ্ছা, চলি।’

মাসি ওদের বিদায় দিয়ে এসে বলল, ‘তোর কী ভাগ্যি সরো, রানির মতো থাকবি।’

‘আমি কি এখানে থাকব না?’

‘যাচ্চচলে! সাতকাণ্ড রামায়ণ পড়ার পর জিজ্ঞাসা করছে সীতা কার বোন? মেয়েমানুষ হল নদীর মতো, কখনও এক জায়গায় থাকে না, তুই জানিস না?’ মাসি হাসল।

‘তা হলে তুমি যে আছ, কাননবুড়ি যে আছে—?’

‘আমরা হলাম মজা নদী, স্রোত নেই। এ সব তুই পরে বুঝবি।’ মাসি বলেছিল। ছিল মফসসলে, চলে এল শহরের এক প্রান্তে। পাড়ার নাম মোহনতলা। সেই দুই আধবুড়ি যেমন তাকে ভালোমন্দ খেতে দেয় তেমনি জ্ঞান দেয় বিস্তর। কী করতে হবে, কী হবে না তা দু’বেলা কানে ঢোকায়। আশেপাশে যে সব লপেটা ছোকরা ঘরঘর করে, তাদের বাপ তুলে গালাগাল দেয়। চুল বেঁধে দিতে দিতে বলে, ‘শোন সরো, এই পৃথিবীতে কেউ কারও নয়। একটা কথা সব সময় মনে রাখবি, ফেলো কড়ি মাখো তেল, আমি কি তোমার পর? বুঝতে পারলি?’

মাথা নাড়ল সরস্বতী, ‘না তো!’

রেগে গেল আধবুড়ি। সরস্বতীর মাথাটা সামনে ঠেলে দিল বেশ জোরেই। বলল, ‘তুই একটা হাঁদি।’

* * *

মোহনতলায় এখন সরস্বতীর বেশ নামডাক। দুই আধবুড়ি বলে বেড়ায়, এ রকম মেয়েমানুষ ভগবানের হাত দিয়ে বেশি বের হয়নি গো! আমরা বুড়ি হয়েছি, ও এখন ভর যুবতী, ইচ্ছে করলেই আমাদের কুচোখে দেখতে পারত। কিন্তু দেখেনি। বাড়িটা দোতলা করেছে। দোতলায় একটা ঘর দিয়েছে আমাদের, অন্যটায় নিজে থাকে। কিন্তু কোনো খদ্দেরকে একতলা থেকে দোতলায় তোলে না। বলে, দোতলাটা মন্দির, একতলাটা মোদোমাতালদের ফুর্তিখানা।

তবে হ্যাঁ, যত বয়স বাড়ছে তত মেজাজ কড়া হচ্ছে। সন্ধে থেকে অল্প পয়সার খদ্দের এলে দুজন, বেশি পয়সা দিলে একজন। তা যেই হও তুমি, রাত বারোটা বাজলেই বাড়ি ছেড়ে যেতে হবে। দুটো খদ্দের এলে দু’বার, একজন এলে এক বার, কলঘরে ঢুকবেই সরস্বতী। মাথা থেকে পা পর্যন্ত সাবান দিয়ে না রগড়ালে সে স্বস্তি পাবে না। তারপর ওপরে উঠে তার মনে হয়, কী আরাম! দুই বুড়ির এক বুড়ি বলে, ‘ও সরো, তোর এত মিষ্টি গলা, গান শেখ না। সকালবেলায় তো খদ্দের নিস না, তখন গান শেখ। কীর্তন, শ্যামাসংগীত আর রসের গান। দেখবি তোর রোজগার হু হু করে বেড়ে যাবে।’

ঠোঁট বেঁকায় সরস্বতী, ‘রোজগার বাড়লে খাবে কে? তোমাদের তো কিছুই হজম হয় না।’

তবু গুনগুন করে সরস্বতী। সকালবেলায় তখন মনে হয় কাননবালার কথা। কাননবালা বলেছিল, ‘শরীর কখনও এঁটো হয় না রে। জলে ধুলে শুদ্ধ হয়, সাবান ঘষলে তো কথাই নেই। কিন্তু খবরদার মন এঁটো করিস না। মন এঁটো হলে তোর সর্বনাশ হয়ে যাবে।’ কথাটা মনে রেখেছে সরস্বতী।

সেদিন থেকে মেঘ জমেছিল। সাধারণত এ রকম দিনে মোহনতলায় খদ্দের আসে না। বৃষ্টি বেশি হলে রাস্তায় জল জমে যায়, ফিরতে পারে না। খদ্দেররা। মুখ ভার হয়ে যায় দরজায় অপেক্ষায় থাকা মেয়েদের। বেশির ভাগ দরজা বন্ধ হয় না অনেক রাত পর্যন্ত। আশায় আশায়। কিন্তু জমা জল না কমলে সর্বনাশ।

ঈর্ষায় ওদের বুক টাটায় যখন দেখে এই ঝড়বৃষ্টির রাতেও খদ্দের ঢুকছে সরস্বতীর ঘরে। দোতলায় দুই বুড়ি ফোকলা দাঁতে হাসে, ‘একেবারে জহুরির চোখ, খুঁজেপেতে ঠিক মেয়ে এনেছিলাম রে।’

বৃষ্টি নেমেছিল, জল জমেছিল, সরস্বতী ভেবেছিল আজ খদ্দের আসবে না। তাই বিকেলে সাজগোজে মন দেয়নি। যে ঘরে এল, সে চোখ কপালে তুলল, ‘ও মা, এ কী!’

বিরক্ত হল সরস্বতী, ‘মনের কথা বলে ফেলো।’

‘লাল পাড়ার মেয়ের এমন সাদামাটা সাজ কেন?’

‘যেখানে রঙের সাজ দেখবে সেখানে গেলেই তো হয়।’

লোকটা মাথা নাড়ল, ‘বাঃ, কথায় দেখছি বাঁধন আছে। তা বৃষ্টি না ধরা পর্যন্ত থাকব, কত দিতে হবে?’

‘আশেপাশে জিজ্ঞাসা করে তবে ঢোকা উচিত ছিল।’ সরস্বতী বিরক্ত।

লোকটা ভাবল। লম্বা, পাঞ্জাবি—পাজামা পরা শরীর। মাথার চুল ঘাড় পর্যন্ত নেমেছে। একটু ভেবে বলল, ‘তুমি আমাকে খারাপ করে দিতে পারবে?’

‘এ কী রকম কথা!’ অবাক হল সরস্বতী। সে লোকটাকে ভালো করে দেখল। তার ঘরে যারা আসে তাদের সঙ্গে মিলছে না। লোকটা হাসল, ‘আমার কাছে যা আছে তা তোমায় দিয়ে যাব। তুমি চিন্তা কোরো না।’

‘ও সব শুকনো কথায় চিঁড়ে না ভিজিয়ে যা বলছি তা যদি দিতে পারো তাহলে থাকো, নইলে বিদায় নাও।’ খেঁকিয়ে উঠল সরস্বতী।

‘বেশ বলো, শুনব। তার আগে আমি একটা গান গাইছি, শুনে বলো, কেমন লাগল!’ লোকটি কথাগুলো বলে চোখ বন্ধ করল। সরস্বতী প্রমাদ গুনল। এই বর্ষার সন্ধ্যায় নির্ঘাত একটা পাগলের পাল্লায় পড়েছে সে। ইতিমধ্যে লোকটা গান শুরু করল, যা হওয়ার তা হবে।

যে আমারে কাঁদায় সে কি অমনি ছেড়ে রবে?

পথ হতে যে ভুলিয়ে আনে

পথ যে কোথায় সেই তা জানে,

ঘর যে ছাড়ায় হাত সে বাড়ায়—

সেই তো ঘরে লবে।

মেয়েলি গলা কিন্তু সুরেলা। কী রকম থতমত হয়ে গেল সরস্বতী। কী অদ্ভুত কথা। ঘর যে ছাড়ায়, সে আবার হাত বাড়ায় ঘরে নেওয়ার জন্যে। তার মুখ থেকে ‘বাঃ’ শব্দটা ছিটকে বের হল।

‘ভালো লাগল?’ ঘাড় বেঁকিয়ে জিজ্ঞাসা করল লোকটা।

‘খুব।’ মাথা নাড়ল সরস্বতী, ‘এ রকম গান আর একটা শোনাবেন?’

‘এই হল মুশকিল। নিশ্চয়ই শোনাব। লোকটা গান ধরল, ‘তুমি শোন যদি গান আমার সমুখে থাকি,সুধা যদি করে দান তোমার উদার আঁখি—’

শুনতে শুনতে মুগ্ধতা বাড়ল। সরস্বতী জিজ্ঞাসা করল, ‘এ কার গান? আপনার?’

‘দূর! এ গান কি আমি বাঁধতে পারি? তোমার ভালো লাগছে?’

‘খুব। কোথায় থাকেন তিনি?’

‘কলকাতায়। কিন্তু শুনেছি তিনি খুব অসুস্থ,’ মাথা নাড়ল লোকটা, ‘শুনেছি তিনি আর গান বাঁধবেন না। শোনামাত্র বুকের ভেতরটা অসাড় হয়ে গেল। বেরিয়ে পড়লাম পথে। বৃষ্টি এল। তোমার ঘরে চলে এলাম। টাকাটা দিই?’

‘এই গান যিনি লিখেছেন, তিনি কোথায় থাকেন?’

‘অন্তরে।’ বলে আবার গান ধরল।

অন্তরে জাগিছ অন্তরযামী

তবু সদা দূরে ভ্রমিতেছি আমি।

সংসারে সুখ করেছি বরণ,

তবু তুমি মম জীবনস্বামী।

তারপর উঠে দাঁড়াল লোকটা, ‘বাইরে যখন অন্ধকার আজ অন্তরে তাকে দেখতে পাবে গো।’ একটা টাকা রেখে চলে গেল লোকটা।

পাথরের মতো বসে রইল সরস্বতী। পাড়ার সব বাড়ির আলো নিভে গেল। কিন্তু বুকের ভেতর কী যেন কিলবিল করছে। কিছুতেই শরীরে বল আসছে না। সরস্বতী স্থির করল, আলো ফুটলেই মানুষটাকে দেখতে যাবে।

আলো ফুটল। তৈরি হয়ে বাইরে বেরিয়ে এল সে। হঠাৎ সম্বিৎ এল, কোথায় যাচ্ছে সে? সেই অসুস্থ মানুষটা কোথায় থাকে তাই তো জানা নেই। আকাশের দিকে তাকাল সরস্বতী। কেউ একা হেঁটে যাচ্ছে সামনের পথ দিয়ে। হাঁটতে হাঁটতে গান গাইছে নিজের মনে, ‘জীবনে যত পূজা হল না সারা জানি হে জানি তাও হয়নি হারা।’

থমকে গেল সরস্বতী। তারপর দুই হাতে মুখ ঢাকল। দৌড়ে লোকটার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করল, ‘এ কার গান গাইছেন আপনি?’

‘আমরা যাঁকে হারাব কিন্তু তিনি আমাদের কখনওই হারাবেন না, তাঁর গান।’

গান গাইতে গাইতে চলে যাওয়া লোকটির দিকে তাকিয়ে সরস্বতী অনুভব করল, তার মন এঁটো হয়ে গেল।

বড় শান্তি এল, বড় শক্তি এল মনে। চোখের জল আর হাসি একাকার হয়ে গেল। কিন্তু কাননবালা বলেছিল, মন এঁটো হলে যন্ত্রণা বাড়ে। কিন্তু কোথায় যন্ত্রণা! এই সুখ তো কখনও পায়নি। ভাগ্যিস মন ধোয়া যায় না!

এখন পর্যন্ত লেখাটি পড়া হয়েছে ৩২ বার
যদি লেখাটি সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন