আমি ফিরে আসবো—
কোনো এক শীতে নয়, বসন্তের প্রতারণায় নয়—
ফিরে আসবো আগুন নিয়ে,
যে আগুন একদিন নেভানো হয়েছিল পাথরের বিধানে।
আমি ইতিহাস—
কিন্তু পাঠ্যবইয়ের পৃষ্ঠায় আমার নাম নেই,
কারণ আমি গুলি খাওয়া কৃষক,
নিষিদ্ধ এক কবিতা,
কিম্বা সেই কণ্ঠ, যার স্বর স্তব্ধ করে দেওয়া হয়েছিল রাষ্ট্রীয় নীরবতায়।
আমি বিপ্লব—
যার বুকে নেই পতাকার রং,
শুধু আগুনের ঘ্রাণ আর হাড়ভাঙা প্রতিজ্ঞা,
আমি বন্দুক নয়—
আমি সেই আঙুল, যে ট্রিগার স্পর্শ করে আগে স্বপ্ন দেখে।
তোমরা ভাবো আমি মরে গেছি—
কারাগারে পচে যাওয়া নখের নিচে আমার চিহ্ন নেই ভেবো?
যেখানে মানুষ নাম লিখতে জানে না,
সেখানেও আমি রক্ত দিয়ে ইতিহাস লেখে দিয়েছি—
পাঠ না করা সেই ইতিহাস একদিন পাঠ করবে আমারই ছিন্ন মাটি।
ফিরে আসবো—
যেদিন রাত্রি শুধু নিস্তব্ধ হবে না,
বরং গর্জে উঠবে একটা জাতির ব্যর্থ শোকগাঁথা হয়ে।
আমাকে খুঁজে পাবে:
ভাঙা মসজিদের ধুলোর ভেতর,
আত্মহত্যা করা ছাত্রের চিঠির কোণে,
বাধাহীন শ্লোগানের ভিতর,
নিপীড়কের হাসিতে লুকানো ভয়ের ফাঁকে।
আমাকে দেখবে:
বস্তির দেয়ালে আঁকা এক বালকের চোখে,
যে চোখ একদিন স্বপ্ন দেখতো বইয়ের,
আর এখন বারুদ গোনে।
আমি ফিরে আসবো—
শুধু সাহস হয়ে নয়,
অভিশাপ হয়ে, বিস্মরণহীন বিবেক হয়ে,
একটি খণ্ডিত পতাকা আবার উড়বে আমার শিরায়,
আর আমি হাঁটবো, নগ্ন পায়ে,
জনতার দীর্ঘশ্বাসের ওপর দিয়ে,
যতক্ষণ না নিপীড়ক নিজেই কেঁপে উঠে বলে,
“ওরা তো মরে নাই…”

০
০
সেভ বা রিয়েক্ট করার জন্য লগইন করে নিন!
১১০
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন