আমার পিতার জমি ছিল না—
তাই আমার জন্মও রাষ্ট্রের কাছে অবৈধ।
আমার স্কুলের ছাদ চুঁইয়ে পড়ত বৃষ্টি,
আর মন্ত্রীপুত্রের টিফিনে থাকত বিদেশি চকলেট।
তখনই বুঝেছিলাম,
এই দেশ আমাকে চায় না।
একদিন পরীক্ষা দিয়ে ফিরলাম
নির্বাচনী রোডশোর জ্যামে হাঁটতে হাঁটতে,
মাইকে বাজছিল—
\”উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে…\”
আমি হেসেছিলাম—
কার উন্নয়ন?
আমার তো জুতো ফাটে এখনও।
চাকরির জন্য ঘুরেছি আট বছর—
প্রতিবার বলা হয়েছে \”যোগ্য নও\”,
আর পাশের ছেলেটা,
যার বাপ সাংসদ—
সে ফাইল ছাড়াই নিয়োগপত্র পেয়েছে।
তোমরা বলো,
এই রাষ্ট্র কি আমার?
এই পতাকা কি কেবল ওদের?
যারা জানে কোন পার্টিতে গেলে ভাত পাওয়া যায়?
আমার গলার স্বর জোরে উঠলেই
রাষ্ট্র ভাবে আমি ষড়যন্ত্র করছি,
আসলে তো শুধু বলতে চেয়েছিলাম—
\”ভাই, আমাদেরও তো খিদে পায়!\”
এই রাষ্ট্র একদিন আমারও ছিল—
যখন ছোট ছিলাম, জাতীয় সংগীত গাইতাম গলা উঁচিয়ে, চেঁছিয়ে।
আজ আমি শুধু চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকি,
হাতে নেই কোনো অধিকার, কণ্ঠে নেই কোনো গান।
৭০

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন