আমাদের কণ্ঠের ভেতরে
নীরবতার কঠিন এক কবরস্থান-
প্রতিটি অক্ষর শ্বাসরুদ্ধ হয়ে পড়ে আছে,
শুধু অপেক্ষা করছে
কারও আঙুল এসে
ফাঁসের গিঁট খুলে দেবে
আর আকাশে ছুড়ে দেবে বিদ্যুতের দাঁত।
বাতাসেরও এখানে অনুমতি লাগে-
শাসকের কালি ছাড়া
শ্বাস নেওয়া মহাপাপ।
তাই আমরা শ্বাস নিতে শিখেছি
ঝড়ের মত-
একসাথে, একসুরে, এক বৃত্তে-
যাতে প্রথম শব্দেই বজ্রপাত খুলে যায়।
ইতিহাসের বুক
এখনও গরম উৎপর্নে ভরা,
তবু আমরা তাতে হাত রাখি-
কারণ জানি,
এই ছাইয়ের তলেই
বজ্রপাত ঘুমিয়ে আছে,
শুধু ডাক দিলেই
উঠে যাবে আকাশ ঘাঁড়-মদ্দার ছিঁড়ে।
তবু দড়ি ছিঁড়ে গেলে
শুধু মুক্তি আসে না-
আসে আগুন,
আসে এমন চিৎকার
যা আকাশের হাড় কাঁপিয়ে দেয়।
তাই বলছি-
বজ্রপাত খুলে দাও,
যেন তা শুধু আলোক নয়,
শাসকের অন্ধকারও ছিঁড়ে ফেলে।

২২
মন্তব্য করতে ক্লিক করুন