স্বপ্ন দেখে না কেবল শিশুরা—
স্বপ্ন দেখে সেই কৃষক, যার চোখে নেই ঘুম,
যার হাড়ের ভেতর ঢুকে গেছে ঋণের বিষাক্ত মৌসুম।
স্বপ্ন দেখে সেই শ্রমিক, যার আঙুলে নেই ছুটি,
যার মজুরি খায় মালিকের হাই-প্রেশার গাড়ি।
স্বপ্ন দেখে যারা আগুন খায়,
যারা প্রতিবাদে জন্ম নেয়, চোখে রাখে রাত্রির গোপন খুন,
যারা জানে—আলো আসে,
তবু প্রতিটি আলো একদিন শৃঙ্খল বয়ে আনে।
স্বপ্ন দেখে না যারা, তারা মৃত—
তাদের শিরায় কেবল অ্যালকোহল,
তারা কবিতাকে ভয় পায়,
তারা স্বাধীনতাকে চাবি দিয়ে তালাবদ্ধ করে।
স্বপ্ন মানে সভ্যতার বিপরীতে দাঁড়ানো সাহস,
স্বপ্ন মানে শেষ রাতে জেগে থাকা এক উন্মাদ আত্মা—
যে বলে:
“তুই পারবি, যদি তোর হাড়ে এখনো লড়াই থাকে!”
স্বপ্ন মানে একা হেঁটে যাওয়া
মৃত পেছনের শহর পেরিয়ে,
যেখানে বেঁচে থাকা মানে যুদ্ধ,
আর মরার মানে তবুও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা।
স্বপ্ন মানে হাতের তালুতে আগুন রাখা—
আর সেই আগুনেই পোড়ানো
সব মিথ্যা বর্ণমালা, সব নিস্তব্ধ সম্মতি।
স্বপ্ন মানে সাহসে দাঁড়িয়ে থাকা,
বেদনা পিষে নতুন আলো সৃষ্টি করা,
বলতে পারা—
“আমি লড়ব, আমার জীবন হবে প্রতিরোধের গান।”

মন্তব্য করতে ক্লিক করুন