অজিতেশ
শক্তি চট্টোপাধ্যায়
তোমার মুখ দেখলে মনে হয় কোথাও বৃষ্টি হচ্ছে
কপালে সন্ন্যাসের নীচে কেমন দীঘির মত চোখ ছিল তোমার
দীঘির পাড়ে তালপাতার বাড়িটি বড় খেটেখুটে তৈরি করা
অদূর্ বিলাসী অথচ সুকুমার তালধ্বজ
এই ঠুনকো জীবনচারিতায় কোন যোগ ছিল না তোমার
তুমি বজ্রকণ্ঠে ঘুরে দাঁড়াতে মেঘের দিকে
আমাদের খরায় তোমার নিমন্ত্রাণ নিতেই হবে!
জীবনকে ভারি ভালোবেসে সাপটে ধরেছিলে তুমি
ভালোবাসার বেদনায় চিড় ধরেছিলো কোনো কোনো পাথরে, কঠিন
তর্জনি তুলে শাসিয়ে বলেছিলে হ্যাঁ এই ফাটা পাঠরেও চাষ হবে
ভালোবাসার ফুল ফুটবে থোকা থোকা, পাতাও আমার চাই
গভীর বিহ্বল সবুজ পাতার পাহাড় থাকবে বাগান ভর্তি তুমি বলেছিলে।
তোমাকে দেখা আমরা একটা অন্য ধরনের ভালোবাসা বাসতে শিখেছিলুম
দুই বাহু আলিঙ্গনে দামাল ঝড়কে বেঁধে ফেলতে তোমাকেই দেখেছি কেবল
আমরা ভয় পেতুম, তুমি সহজেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারতে।
আজ চোখ বুজলেই দেখতে পাই, ঐ শয্যায় তোমায় আঁটে না
গভীর তাত্পর্যময় হাসি হেসে তুমি জীবনের সঙ্গে মৃত্যুর গাঁটছড়া বেঁধে দিলে
কেমন অনায়াসে
প্রয়োজন ছিল ?
এ অনুষ্ঠানের কোনো দরকার ছিল কি ? প্রয়োজন ছিল এ শান্ত নাটকীয়তার
আমাদের কাছ থেকে একটা ধুমকেতুর প্রখর বিস্ময় এইভাবে সরে গেলে অকস্মাৎ
তুমি রাতের গাঢ়তায় দিনের মতন স্বচ্ছ সুন্দর ছিলে
তোমার সুখে থাকার গল্প আমার কোনোদিনই ভালো লাগেনি
অনিবার্যবাবেই তুমি কাঁটাতার লাফিয়ে গেছো, একজীবন যুদ্ধ করেছ জয়
ক্ষতবিক্ষত হয়েও তুমি সিংহের মতো পরিহাস করতে
ধিক সেই প্রাণবান বাতাসকে, যা তোমার দেহ ফাঁকা করে বেরিয়ে এসেছে আজ।
কপালে সন্ন্যাসের নীচে কেমন দীঘির মত চোখ ছিল তোমার
দীঘির পাড়ে তালপাতার বাড়িটি বড় খেটেখুটে তৈরি করা
অদূর্ বিলাসী অথচ সুকুমার তালধ্বজ
এই ঠুনকো জীবনচারিতায় কোন যোগ ছিল না তোমার
তুমি বজ্রকণ্ঠে ঘুরে দাঁড়াতে মেঘের দিকে
আমাদের খরায় তোমার নিমন্ত্রাণ নিতেই হবে!
জীবনকে ভারি ভালোবেসে সাপটে ধরেছিলে তুমি
ভালোবাসার বেদনায় চিড় ধরেছিলো কোনো কোনো পাথরে, কঠিন
তর্জনি তুলে শাসিয়ে বলেছিলে হ্যাঁ এই ফাটা পাঠরেও চাষ হবে
ভালোবাসার ফুল ফুটবে থোকা থোকা, পাতাও আমার চাই
গভীর বিহ্বল সবুজ পাতার পাহাড় থাকবে বাগান ভর্তি তুমি বলেছিলে।
তোমাকে দেখা আমরা একটা অন্য ধরনের ভালোবাসা বাসতে শিখেছিলুম
দুই বাহু আলিঙ্গনে দামাল ঝড়কে বেঁধে ফেলতে তোমাকেই দেখেছি কেবল
আমরা ভয় পেতুম, তুমি সহজেই অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারতে।
আজ চোখ বুজলেই দেখতে পাই, ঐ শয্যায় তোমায় আঁটে না
গভীর তাত্পর্যময় হাসি হেসে তুমি জীবনের সঙ্গে মৃত্যুর গাঁটছড়া বেঁধে দিলে
কেমন অনায়াসে
প্রয়োজন ছিল ?
এ অনুষ্ঠানের কোনো দরকার ছিল কি ? প্রয়োজন ছিল এ শান্ত নাটকীয়তার
আমাদের কাছ থেকে একটা ধুমকেতুর প্রখর বিস্ময় এইভাবে সরে গেলে অকস্মাৎ
তুমি রাতের গাঢ়তায় দিনের মতন স্বচ্ছ সুন্দর ছিলে
তোমার সুখে থাকার গল্প আমার কোনোদিনই ভালো লাগেনি
অনিবার্যবাবেই তুমি কাঁটাতার লাফিয়ে গেছো, একজীবন যুদ্ধ করেছ জয়
ক্ষতবিক্ষত হয়েও তুমি সিংহের মতো পরিহাস করতে
ধিক সেই প্রাণবান বাতাসকে, যা তোমার দেহ ফাঁকা করে বেরিয়ে এসেছে আজ।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ২১৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন