দ্রোহের মাঝে অধিকারের খোঁজে

সামস রবি সামস রবি

আমি অন্ধকারে আলোর স্বপ্ন দেখেছি কত শত
হেটেছি আমি অসহায়ত্ব সঙ্গি'দের দলে
তোমরা করুণা, দয়া, ঘৃণার দৃষ্টি, কপাল উচিয়ে 'থু' ফেলেছ কত।
আসলে পয়সাওয়ালা'দের 'থু' ফেলার ভঙ্গি টাও কত সুন্দর
কিন্তু তোমার বাড়ীর দারোয়ানের ঘাম টাও কত বিভৎস, গন্ধ।
বাদাম ওয়ালার টুকরিটা তোমার গাড়ীর ধাক্কায় চূর্ণ করে,
তুমি যাও মানব অধিকারের সভায় বক্তৃতা দিতে।
রাস্তা বন্ধ করে মহান নেতা যায় উন্নয়নের কাজে, দেশের কথা বলতে
আর কত সন্তান সম্ভবা 'মা', বৃদ্ধ পিতা মৃত্যুকে আলিঙ্গন করছে জটে।

তুমি কি কখনো তোমার দামি গাড়ীর কালো গ্লাসে টোকা দেওয়া
ছোট্ট মলিন হাত থেকে একটি ফুল কিনেছ, দশ টাকা দিয়ে
তবে দেখতে তাঁর ময়লা যুক্ত নোংরা দাঁতের হাসিতে কেমন হৃদয় জুড়ানো তৃপ্তি আছে
হয়তো ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়েছ পাশের ফুটপাতে
তোমার দামি গাড়ী নষ্ট হচ্ছে বলে।

কখনো কি প্রশ্ন করেছ নিজেকে এই মধ্যবয়স্ক মহিলা
সাথে ছেঁড়া কাপড় পরিহিত ছোট্ট শিশু'কে নিয়ে কোথায় যায়
কিসের বিলাসিতার খোঁজে ছেঁড়া ব্যাগ নিয়ে হাটছেই তো হাটছে।

আমি তোমাকে দেখেছি মহান নেতার শরণে ভুঁড়ি ভোজের উৎসবে মেতেছ,
কিন্তু তোমার পাশেই দাঁড়ানো ক্ষুধার্ত চেহারা গুলো তোমার রাক্ষসী খাওয়া থামাতে পারেনি।

জানি তোমরা অনেক করেছ
তোমাদের উৎসবে কত কিছু-ই না দিয়েছ গরীব দুঃখি জনতাকে
কুকুর'কে দেওয়ার মত মাংস ছুঁড়ে মেরেছ কত।

তবুও তোমরা-ই ঠিক, তোমাদের কথা শুনবে কত গুণিজনে,
আর দিবে কত বাহ্ বাহ্, সাথে তো আছে-ই সুশীলতার মুখোশ।

তবে এদের কি কোনই অধিকার নেই
রাষ্ট্র, সমাজ, তোমার, আমার কাছে
নাকি শুধু-ই কবিতায়, বক্তৃতায়, টকশোর ঝলসানো শো'তে।

স্বাধীন হয়েছি আজ কত বছর
একটি স্বপ্নই দেখে যাই বারংবার, বেঁচে থাকার, বাঁচিয়ে রাখার
প্রতিদিন সূর্য ডুবে স্বপ্ন জাগিয়ে, সকালে আসে ফিরে রক্তাক্ত হয়ে।
বলতে পারো আর কতটা প্রজন্ম যাবে দেখে স্বপ্নের পর স্বপ্ন
আজ না হয় কাল হবে, হবে একদিন সোনার বাংলাদেশ।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ২৬০ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
    মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন