মাঝে মধ্যে আমরা দু’জন হাঁটি একসঙ্গে পথে, ফুটপাথে,
কখনো বা ভিড়ে হাঁটি, তোমার শাড়িতে
থাকে না ঘুমের ঘোর, বাজে জলতরঙ্গ এবং
অন্তর্বাসে কণিকার সুরের লহরী;
আমার ধূসর ট্রাউজারে গীটারের ধ্বনি আর
শার্টে দেবব্রত বিশ্বাসের কণ্ঠসুর।
আমরা দুজন হাঁটি মেঘে, ফুসফুস ভরে যায়
রঙিন হাওয়ায়, টুক্রো টুক্রো মেঘ মাথার ভেতর
জমা হয়, চাঁদের রূপালি নায়ে ব’সে
চৌদিকে বেড়াই ভেসে, সপ্তর্ষিমণ্ডল ছুঁই, কালপুরুষের সঙ্গে প্রীত
হ্যাণ্ডশেক করি, নেমে যাই ছায়াপথে
আসমানী রেস্তোরাঁর খোঁজে।
আমরা দুজন নক্ষত্রের সিঁড়ি বেয়ে ওঠে যাই,
কিয়দ্দূরে প্রবালে বানানো এক নিখুঁত রেস্তোরাঁ
চোখে পড়ে শূন্যের মাঝার, ঢুকে দেখি
জ্যোৎস্নালোকে কবিতা চিবিয়ে খাচ্ছে কজন বুর্বক
আর বনহংসীর মতন ওয়েট্রেস
সাজাচ্ছে টেবিল অনাগত গ্রাহকের প্রত্যাশায়।
আমরা দুজন বসি মুখোমুখি একটি টেবিলে
এক কোণে, হাঁসের পালক-মেনু হাতে নিয়ে তুমি
খেলছিলে, অকস্মাৎ কী প্রবল হাওয়া এসে করে
লণ্ডভণ্ড সব কিছু, আমরা দুজন অতি দ্রুত
দুদিকে ছিটকে পড়ি। আমাকে দীঘল ঘাস ঢেকে ফেলে,
দেখি অতিকায় কোলা ব্যাঙ হয়ে পড়ে আছি ঘরে
তাল তাল কাদার ভেতর, ফের একটি সোনালী হাত আস্তে
টেনে তোলে আমাকে, নিবিষ্ট চিত্তে কবিতা লিখতে ব’সে যাই।
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন