বর্গি-তাড়ানো গান
শামসুর রাহমান
ছেলে ঘুমায় না, পাড়া জুড়ায় না,
বর্গিরা এল দেশে।
বর্গি তাড়াবে তাই তো খোকন
সাজল বীরের বেশে।
সূর্যের মুখে দেয় যারা কালি,
আগুন ছড়ায় হাটে-মাঠে খালি,
কেরে নেয় কচি-কাঁচাদের হাসি,
মেঘ থেকে বোমা ছোড়ে রাশি রাশি,
তাদের রুখতে খোকন দাঁড়ায়
কামানের কাঁধ ঘেঁষে।
দত্যি-দানব আসুক না হয়,
রাক্ষস দেখে পায় না সে ভয়।
দেবে না ভাঙতে ঘর-বাড়ি, পুল,
ভায়ের লাটাই, বোনের পুতুল,
মায়ের হাতের চুড়ি সুন্দর-
দেবে না ভাঙতে এই খেলাঘর,
তাই তো খোকন কামান-গোলায়
বুক পেতে দেয় হেসে।
দ্যাখো, দ্যাখো চেয়ে বর্গি পালায়,
খোকনের ওই গোলার জ্বালায়।
প্রাণ নিয়ে দেয় চম্পট ওরা,
কেউ প’ড়ে মরে, কেউ হয় খোঁড়া।
আজকে খোকন তাড়ায় বর্গি
মেঘ হতে মেঘে ভেসে!
বর্গিরা এল দেশে।
বর্গি তাড়াবে তাই তো খোকন
সাজল বীরের বেশে।
সূর্যের মুখে দেয় যারা কালি,
আগুন ছড়ায় হাটে-মাঠে খালি,
কেরে নেয় কচি-কাঁচাদের হাসি,
মেঘ থেকে বোমা ছোড়ে রাশি রাশি,
তাদের রুখতে খোকন দাঁড়ায়
কামানের কাঁধ ঘেঁষে।
দত্যি-দানব আসুক না হয়,
রাক্ষস দেখে পায় না সে ভয়।
দেবে না ভাঙতে ঘর-বাড়ি, পুল,
ভায়ের লাটাই, বোনের পুতুল,
মায়ের হাতের চুড়ি সুন্দর-
দেবে না ভাঙতে এই খেলাঘর,
তাই তো খোকন কামান-গোলায়
বুক পেতে দেয় হেসে।
দ্যাখো, দ্যাখো চেয়ে বর্গি পালায়,
খোকনের ওই গোলার জ্বালায়।
প্রাণ নিয়ে দেয় চম্পট ওরা,
কেউ প’ড়ে মরে, কেউ হয় খোঁড়া।
আজকে খোকন তাড়ায় বর্গি
মেঘ হতে মেঘে ভেসে!
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১৭৪ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন