কেন যে উন্মাদ হয়ে যাইনি
শামসুর রাহমান
সত্যি বলতে কী, এই উপসর্গ সাম্প্রতিক বটে-একাকীত্বে
ডুবে প্রিয় পুস্তকের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে কিংবা
কৃপণ আকাশে চোখ রেখে কিছু ভাবলে অথবা
কাঙ্ক্ষিত ইয়ার-বন্ধুদের মজলিশে মশগুল
থাকার কালেও আচমকা মনে হয়,
কেন যে উন্মাদ হয়ে যাইনি এখনও!
ভোরবেলা সংবাদপত্রের দিকে তাকালেই দু’চোখে কেমন
উদ্ভট সার্কাস, বিভীষিকা পাক খেতে থাকে
অবিরাম; অস্ত্রের বেলেল্লা জয়োল্লাস, যাদের সিঁথিতে আজও
সিঁদুরের ছোঁয়াটুকু লাগেনি, তাদের
সম্ভ্রম লুটেছে যারা সগৌরবে তারা
মুহূর্মুহু করে জয়ধ্বনি লুণ্ঠিত, আহত পাড়াগাঁয়।
এই যে প্রত্যহ আমি একালে কামাই দাড়ি, গোসলখানায়
পানি ঢালি গায়ে, নাস্তা খাই যথারীতি,
দিব্যি উপভোগ করি গাছের পাতার মৃদু নাচ-হায়, আজ
এসব কি সাজে আর? কেন যে উন্মাদ হয়ে যাইনি এখনও,
দেখছি ব্যথিত মানবতা যাচ্ছে হেঁটে, পায়ে যার
লোহার শেকল আর হাতে
হ্যান্ডকাফ, মাথা উঁচু কণ্ঠে শেকল ছেঁড়ার এক স্তিমিত প্রয়াস?
ডুবে প্রিয় পুস্তকের পাতা ওল্টাতে ওল্টাতে কিংবা
কৃপণ আকাশে চোখ রেখে কিছু ভাবলে অথবা
কাঙ্ক্ষিত ইয়ার-বন্ধুদের মজলিশে মশগুল
থাকার কালেও আচমকা মনে হয়,
কেন যে উন্মাদ হয়ে যাইনি এখনও!
ভোরবেলা সংবাদপত্রের দিকে তাকালেই দু’চোখে কেমন
উদ্ভট সার্কাস, বিভীষিকা পাক খেতে থাকে
অবিরাম; অস্ত্রের বেলেল্লা জয়োল্লাস, যাদের সিঁথিতে আজও
সিঁদুরের ছোঁয়াটুকু লাগেনি, তাদের
সম্ভ্রম লুটেছে যারা সগৌরবে তারা
মুহূর্মুহু করে জয়ধ্বনি লুণ্ঠিত, আহত পাড়াগাঁয়।
এই যে প্রত্যহ আমি একালে কামাই দাড়ি, গোসলখানায়
পানি ঢালি গায়ে, নাস্তা খাই যথারীতি,
দিব্যি উপভোগ করি গাছের পাতার মৃদু নাচ-হায়, আজ
এসব কি সাজে আর? কেন যে উন্মাদ হয়ে যাইনি এখনও,
দেখছি ব্যথিত মানবতা যাচ্ছে হেঁটে, পায়ে যার
লোহার শেকল আর হাতে
হ্যান্ডকাফ, মাথা উঁচু কণ্ঠে শেকল ছেঁড়ার এক স্তিমিত প্রয়াস?
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৫৩ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন