লালনের টানে
শামসুর রাহমান
(আবুল আহসান চৌধুরী প্রিয়বরেষু)
কোনো এক উদাস বিকেলে, মনে হয়, তোমার পড়ার ঘর
থেকে সাংকেতিক এক প্রগাঢ় ভাষায়
তোমাকে দূরের
সবুজ মাঠের দিকে যেন কেউ ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তুমি
নিজের ভেতরে স্বপ্ন-জাগানিয়া এক আলোড়ন
টের পেয়ে তাকালে চৌদিকে বিস্ময়ের ঝলসানি-লাগা চোখে।
মনে শূন্যতার সাদা প্রভাবে নিজেই যেন হেঁটে
হেঁটে সামনের কিছু প্রাপ্তির আশায় বুঝি পা দুটি সচল
রাখলে অনেকক্ষণ আরও। দূর থেকে
ভেসে আসে দোতারার সুর।
সমুখে ক্রমশ ফুটে ওঠে একজন পক্ককেশ বাউলের
মুখ আর গীত, ক্ষণকাল পরে তার
গীতসুধা যায় থেমে তোমার উদ্দীপ্ত পদধ্বনি বেজে উঠতেই আর খুব কাছে
গিয়ে বলো তুমি ‘দৃষ্টিহারা
আপনি, অথচ বোঝা গেল বিলক্ষণ কী প্রখর
উজ্জ্বল নজর আপনার’।
বাইরের দৃষ্টি নয়, অন্তরের চোখে দেখে নিই
দেখান যা সাঁই,’ বলে তিনি গাইতে গাইতে
গেলেন মিলিয়ে পথে গোধূলিতে। চমকিত তুমি
অতি দ্রুত পা চালিয়ে পৌঁছে গেলে ভিন্নরূপে আপন ভুবনে।
কোনো এক উদাস বিকেলে, মনে হয়, তোমার পড়ার ঘর
থেকে সাংকেতিক এক প্রগাঢ় ভাষায়
তোমাকে দূরের
সবুজ মাঠের দিকে যেন কেউ ডেকে নিয়ে গিয়েছিল। তুমি
নিজের ভেতরে স্বপ্ন-জাগানিয়া এক আলোড়ন
টের পেয়ে তাকালে চৌদিকে বিস্ময়ের ঝলসানি-লাগা চোখে।
মনে শূন্যতার সাদা প্রভাবে নিজেই যেন হেঁটে
হেঁটে সামনের কিছু প্রাপ্তির আশায় বুঝি পা দুটি সচল
রাখলে অনেকক্ষণ আরও। দূর থেকে
ভেসে আসে দোতারার সুর।
সমুখে ক্রমশ ফুটে ওঠে একজন পক্ককেশ বাউলের
মুখ আর গীত, ক্ষণকাল পরে তার
গীতসুধা যায় থেমে তোমার উদ্দীপ্ত পদধ্বনি বেজে উঠতেই আর খুব কাছে
গিয়ে বলো তুমি ‘দৃষ্টিহারা
আপনি, অথচ বোঝা গেল বিলক্ষণ কী প্রখর
উজ্জ্বল নজর আপনার’।
বাইরের দৃষ্টি নয়, অন্তরের চোখে দেখে নিই
দেখান যা সাঁই,’ বলে তিনি গাইতে গাইতে
গেলেন মিলিয়ে পথে গোধূলিতে। চমকিত তুমি
অতি দ্রুত পা চালিয়ে পৌঁছে গেলে ভিন্নরূপে আপন ভুবনে।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ৬৯ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন