স্মৃতি
শামসুর রাহমান
অন্ধকারে হোঁচট খেয়ে খেয়ে
খুঁজছি বাহু, খুঁজছি কালো চোখ।
কাফে-র ভিড়ে টেবিল ঘেঁষে বসে
দৃশ্য দেখি শহুরে এক লোক।
হঠাৎ যদি দৃষ্টিপথে পড়ে
তোমার চোখ, তাইতো চোখ দু’টি
বারংবার সবার চোখে রাখি।
একটু চেনা লাগলে নড়ে উঠি।
রাত্রি বাড়ে, উজাড় করে কাফে
যাচ্ছে ওরা, ঢুলছি আমি একা।
থাকবো আরো থাকবো কিছুকাল,
হঠাৎ যদি তোমার পাই দেখা।
ছিলাম ঝোড়ো যুগের কোলাহলে
গ্রন্থাগারে আমরা সহপাঠী।
পৃষ্ঠগুলো উঠতো গান গেয়ে,
হৃদয় হতো বকুল-ঝরা মাটি!
নিদ্রাতুর দেশের চৌদিকে
সোনার কাঠি জানায় দাবি-দাওয়া।
শহর গ্রামে ক্ষিপ্র হলো স্নায়ু,
লক্ষ প্রাণে বইলো কী যে হাওয়া।
বেরিয়ে এলে তুমিও কলরবে;
পাতার গানে মুগ্ধ দেখি চেয়ে-
বদ্ধ মুঠি, কারখানার কালি;
অন্ধকারে বিশ্ব গেছে ছেয়ে।
সে কবে তুমি হারিয়ে গেলে ভিড়ে,
তখন থেকে তোমাকে খুঁজি শুধু।
নানান জনে রটায় নানা কথা
হৃদয়ে আঁধি, দৃষ্টি হলো ধু-ধু।
ব্যস্ত চোখে বৃথাই ঘুরে মরি
কখনো ভিড়ে, কখনো নির্জনে।
ঝাড়তে চাই মনের কিছু বোঝা,
স্মৃতির ভার কমে না বর্জনে।
খুঁজছি বাহু, খুঁজছি কালো চোখ।
কাফে-র ভিড়ে টেবিল ঘেঁষে বসে
দৃশ্য দেখি শহুরে এক লোক।
হঠাৎ যদি দৃষ্টিপথে পড়ে
তোমার চোখ, তাইতো চোখ দু’টি
বারংবার সবার চোখে রাখি।
একটু চেনা লাগলে নড়ে উঠি।
রাত্রি বাড়ে, উজাড় করে কাফে
যাচ্ছে ওরা, ঢুলছি আমি একা।
থাকবো আরো থাকবো কিছুকাল,
হঠাৎ যদি তোমার পাই দেখা।
ছিলাম ঝোড়ো যুগের কোলাহলে
গ্রন্থাগারে আমরা সহপাঠী।
পৃষ্ঠগুলো উঠতো গান গেয়ে,
হৃদয় হতো বকুল-ঝরা মাটি!
নিদ্রাতুর দেশের চৌদিকে
সোনার কাঠি জানায় দাবি-দাওয়া।
শহর গ্রামে ক্ষিপ্র হলো স্নায়ু,
লক্ষ প্রাণে বইলো কী যে হাওয়া।
বেরিয়ে এলে তুমিও কলরবে;
পাতার গানে মুগ্ধ দেখি চেয়ে-
বদ্ধ মুঠি, কারখানার কালি;
অন্ধকারে বিশ্ব গেছে ছেয়ে।
সে কবে তুমি হারিয়ে গেলে ভিড়ে,
তখন থেকে তোমাকে খুঁজি শুধু।
নানান জনে রটায় নানা কথা
হৃদয়ে আঁধি, দৃষ্টি হলো ধু-ধু।
ব্যস্ত চোখে বৃথাই ঘুরে মরি
কখনো ভিড়ে, কখনো নির্জনে।
ঝাড়তে চাই মনের কিছু বোঝা,
স্মৃতির ভার কমে না বর্জনে।
এখন পর্যন্ত কবিতাটি পড়া হয়েছে ১০৬ বার
যদি কবিতাটা সম্পর্কে কোন অভিযোগ থাকে, রিপোর্ট করুন
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন